এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজকে তেহরান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এর আগে সৌদি বাদশাহ ইরানের প্রেসিডেন্টকে রিয়াদ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এখন সৌদি বাদশাহকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানালেন রাইসি।
দীর্ঘ সাত বছর পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের পর উভয় পক্ষ থেকেই একের পর এক ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং অন্যান্য ইস্যুতে সম্প্রতি সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি সৌদি বাদশাহকে আমন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সৌদির বাদশাহকে তেহরান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এছাড়া আগামী ৯ মে’র মধ্যে দুই দেশ একে অপরের রাজধানীতে কূটনৈতিক মিশন চালু করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ইরানি মুসল্লিরা যাতে এবারের পবিত্র হজে অংশ নিতে পারেন, সে জন্য উভয় দেশ সময়মতো দূতাবাসগুলো সক্রিয় করার ওপর জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ দূতাবাস ও কনস্যুলেট পরিদর্শন করেছেন।
এর আগে অনেকটা ভেতরে ভেতরেই এগিয়ে চলে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যেকার সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের আলোচনা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ মার্চ দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি সই হয়।
চীনের মধ্যস্থতায় দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তি সই করে ইরান ও সৌদি আরব। যেখানে উপস্থিত ছিলেন চীনা প্রতিনিধি। চুক্তি অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে দুই দেশ তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করবে।