ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ব্যাপারে ব্রাজিলের অবস্থান নিয়ে একেই সন্তুষ্ট নয় যুক্তরাষ্ট্র, তার ওপর পুতিন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের ব্রাজিল সফর আগুনে আরো ঘি ঢেলেছে। সোমবার ব্রাজিল সফরে গিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। সেখানে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ‘অবস্থানের’ প্রশংসা করেছেন।
ল্যাভরভ বলেন, ‘ইউক্রেন পরিস্থিতির উৎপত্তি কোথায় তা ভালোভাবে বুঝতে পারার জন্য আমরা আমাদের ব্রাজিলীয় বন্ধুদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা এর নিষ্পত্তির উপায় খুঁজে বের করতে সহযোগিতা করছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ।’
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ব্যাপারে ব্রাজিলের অবস্থান নিয়ে একেই সন্তুষ্ট নয় যুক্তরাষ্ট্র, তার ওপর পুতিন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের ব্রাজিল সফর আগুনে আরো ঘি ঢেলেছে। সোমবার ব্রাজিল সফরে গিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। সেখানে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ‘অবস্থানের’ প্রশংসা করেছেন।
ল্যাভরভ বলেন, ‘ইউক্রেন পরিস্থিতির উৎপত্তি কোথায় তা ভালোভাবে বুঝতে পারার জন্য আমরা আমাদের ব্রাজিলীয় বন্ধুদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা এর নিষ্পত্তির উপায় খুঁজে বের করতে সহযোগিতা করছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ।’
এর আগে শনিবার বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধকে উৎসাহিত করা বন্ধ করতে হবে এবং শান্তির বিষয়ে কথা বলা শুরু করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে শান্তির বিষয়ে কথা বলা শুরু করতে হবে।’এ মাসের শুরুতে তিনি এও পরামর্শ দিয়েছিলেন যে যুদ্ধ শেষ করতে ইউক্রেন ক্রিমিয়া ছেড়ে দিতে পারে।স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্যগুলো ভালো চোখে দেখছেনা যুক্তরাষ্ট্র। ল্যাভরভ ও ভিয়েরার বৈঠকের পর মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘আসল সত্য কী তা না দেখে রাশিয়া ও চীনের প্রপাগাণ্ডায় সুর মিলিয়েছে ব্রাজিল।’
তিনি বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়ার অধিকার ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে দেশটির সবশেষ মন্তব্য একেবারে বিভ্রান্তিকর, বিশেষ করে যে দেশটি সার্বভোমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় (জাতিসংঘে) ভোট দিয়েছে।’
ব্রাজিল অবশ্য মার্কিন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। কিরবির মন্তব্যের বিপরীতে ব্রাজিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েরা বলেন, ‘আমি জানি না কেমন করে তিনি এমন উপসংহারে পৌঁছলেন, তবে এর সঙ্গে আমি একমত নই।’
এদিকে, আরেক সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পশ্চিমারা কর্তৃত্ব বজায় রাখতে হিমসিম খাচ্ছে।