রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ইউক্রেনে গেলেন। তিনি ইউক্রেনের দখলীকৃত এলাকা খেরসনে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। তবে কখন ও কবে তিনি গিয়েছিলেন তা ক্রেমলিম সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে বলেছে, পুতিন দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলে একটি সামরিক কমান্ডের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বৈঠকে তিনি সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কমান্ডারদের কাছে থেকে জাপোরিঝিয়া ও দিনিপার অঞ্চলের বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত শুনেছেন। তবে কবে এই বৈঠক হয়েছে সেটিও জানায়নি ক্রেমলিন।
এ ছাড়া রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের পূর্ব লুহানস্ক অঞ্চলে ন্যাশনাল গার্ডের সদর দপ্তরও পরিদর্শন করেছেন বলে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের এই সফরের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ক্রেমলিন। ভিডিওতে পুতিনকে হেলিকপ্টারে করে লুহানস্কে যেতে দেখা গেছে। এর আগে গত রোববার চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফুর সঙ্গে মস্কোতে বৈঠক করেছেন পুতিন।গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল নিজেদের দখলে নেয় রুশ বাহিনী। এর মধ্যে খেরসন ও জাপোরিঝিয়া রয়েছে। তবে কোনো অঞ্চলই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি রাশিয়া। পুতিনের বাহিনীর এই দখলীকরণকে ‘অবৈধ’ বলে নিন্দা করেছে ইউক্রেন ও তার মিত্র দেশগুলো।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর পরই খেরসন দখল করেছিল রুশ বাহিনী। তবে নভেম্বরে ইউক্রেন বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের মুখে তারা খেরসন থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল। এখন রুশ সেনারা দিনিপার নদীর অন্য পাড়ে তাদের অবস্থার শক্তিশালী করেছে।
এর আগে গত ১৮ মার্চ অধিকৃত ইউক্রেনের মারিউপোল অঞ্চলে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। ওই সময় হেলিকপ্টারে করে মারিউপোলে ঢোকেন তিনি। এরপর গাড়িতে করে শহরটির বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন। ওই সময়ও তিনি অনেকটা গোপনে মারিউপোল সফর করেছিলেন।