নিউ ইয়র্কে গোপন 'চীনা থানা', গ্রেপ্তার দুই

নিউ ইয়র্কে গোপন ‘চীনা থানা’, গ্রেপ্তার দুই

আন্তর্জাতিক
নিউ ইয়র্কে গোপন ‘চীনা থানা’, গ্রেপ্তার করা হয় দুইজনকে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিউ ইয়র্কে তারা গোপন চীনা পুলিশ থানা চালাচ্ছিলেন।

এই থানা ছিল ম্যানহাটনে, চীনা-অধ্যুষিত এলাকায়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তারা চীনের সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করে চক্রান্ত করছিলেন এবং চীনের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছিলেন। তাদের এবার আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে

ব্রুকলিনের প্রসিকিউটার জানিয়েছেন, ”নিউ ইয়র্ক শহরে বসে চীন সরকার গোপনে পুলিশ থানা চালাচ্ছে। এটা তো আমেরিকার সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছু নয়। আমাদের এই মহান শহরে আমরা কোনো গোপন থানা চাই না।”

প্রসিকিউটার জানিয়েছেন, ”গ্রেপ্তার হওয়া একজন চীনার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, সে চীন থেকে পলাতক একজনকে ভয় দেখিয়ে, অত্যাচার করে আবার সেখানে পাঠাবার চেষ্টা করছিল। চীন সরকার ২০২২ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় একজনকে চিহ্নিত করার নির্দেশও তাদের দেয়। ওই ব্যক্তি গণতন্ত্রপন্থি বলে চীন মনে করে।”

জেরার মুখে দুইজনই স্বীকার করেছে যে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে জানতে পেরে, তারা চীন সরকারের ওই বার্তা মুছে দেয়। এছাড়াও ৩৪ জন চীনা নিরাপত্তা কর্মীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা অ্যামেরিকায় থাকা চীনের সরকার-বিরোধীদের খুঁজে বের করে তাদের নানাভাবে চাপ দিত।

এফবিআই প্রধানও জানিয়েছেন, তারা এই গোপন নজরদারি কেন্দ্র নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *