শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রির ফলে এখন আর স্টেশনকেন্দ্রিক ভিড় নেই। ঈদযাত্রায় যাতে বিনা টিকিটে কেউ ভ্রমণ করতে না পারে, তার জন্য কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেল স্টেশনে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা ও নজরদারি। বানানো হয়েছে অস্থায়ী বাঁশের গেট। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘এসব ব্যবস্থার মাধ্যমে অতীত অভিজ্ঞতা ভুলিয়ে দিতে চাই।’
আজ শনিবার ঢাকা বিমানবন্দর রেল স্টেশন পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সারা বছর রেলকে একটা সিস্টেমে আনতে চাইলেও ঈদের সময় সেটি ভেঙে পড়ে। আর ভেঙে পড়ার কারণ টিকিটকেন্দ্রিক। এবার টিকিট অনলাইনে দেওয়া হয়েছে শতভাগ। এখন আর আগের চিত্র নেই।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রীসেবার মান বাড়াতে চাই আমরা। কোনো হয়রানি ছাড়া যেসব যাত্রী টিকিট কেটে যাবেন, তাঁরা যেন নিরাপদে ও স্বচ্ছন্দে যেতে পারেন, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। অতীতের যে অভিজ্ঞতা, সেটা যেন সামনের দিনে গল্পের মতো শোনা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ঈদ ২২ এপ্রিল না ২৩ এপ্রিল হবে, তা নিয়ে দোটানায় আছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি ঈদ ২৩ এপ্রিল হয়, তাহলে ২২ তারিখের টিকিট বিক্রি হবে। সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এবার বাড়তি এক্সেজ কন্ট্রোল নেওয়া হচ্ছে। স্টেশনগুলোতে সেই ব্যবস্থা নেই। এবার বাইরে থেকেই গেট করা হচ্ছে। একদল যাত্রী যারা বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ করে, এই পরিবেশে এবার বাইরে থেকেই আটকে দেওয়া হবে।’
বিমানবন্দর স্টেশন সংস্কার করে নতুন করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তার আগ পর্যন্ত যতটুকু করা যায় সেটা করা হচ্ছে। এরপর এটাকে মাল্টি মডেল হাব করা হবে। কমলাপুর স্টেশনের মতো বিমানবন্দরেও বাঁশের গেট বানানো হয়েছে।
তীব্র দাবদাহে রেলের লাইনে সমস্যা হয় বিধায় আন্তনগর ট্রেনের গতি কমিয়ে ৪০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এই গতি ঈদে শিডিউল বিপর্যয় করবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা শিডিউল বিপর্যয় না। শিডিউল বিপর্যয় বলা হবে যখন কোনো দুর্ঘটনার জন্য ট্রেন দেরি করবে। ৩০ মিনিট দেরি হলেই শিডিউল বিপর্যয় বলা হয় ৷ এটা বলা মানে অবিচার করা।’
মন্ত্রী বলেন, এবার যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে, তা আপনাদের মাধ্যমে ও আমাদের সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারছি। যেগুলোর উন্নতির দরকার সেগুলোর উন্নতি করা হবে।