মেট্রোরেল বা এমআরটি-১ প্রকল্পের কাজের জন্য পূর্বাচল এক্সপ্রেওয়ের তেমন ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এমআরটি লাইন-৫ সাউদার্ন রুটের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে আয়োজিত সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে (সড়ক) নির্মাণ করেছে। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া কাজের সিংহভাগ নির্ধারিত সময় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। চলতি বছরের যে কোনো সময় প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হবে।
এ অবস্থায় দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল বা এমআরটি-১ এর কাজ শুরু হয়। মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের কারণে কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ এক্সপ্রেসওয়ের (পূর্বাচল) একাংশ ভাঙা হচ্ছে বলে খবর সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
সচিব বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘যে কোনো কাজ করতে গেলেই কিছু সমস্যা হয়। মেট্রোরেল নির্মাণে পূর্বাচল ৩০০ ফুটের (পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে) তেমন ক্ষতি হবে না। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে আমরা কতটুকু ক্ষতি হবে তা স্টাডি করি। এক্ষেত্রে তিন শ ফুট সড়কের তেমন ক্ষতি হবে না। সামান্য ক্ষতি হবে। এতে রাস্তার বিশাল ক্ষতি হবে এটা বলা যাবে না।’
বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘পূর্বাচল অংশে মেট্রোরেলের কাজ চলাকালে হয়তো রাস্তার সামান্য ব্যত্যয় হতে পারে। সেখানে ব্যারিকেড দেয়া হবে। আইল্যান্ড ভাঙা পড়বে। রাস্তার কিছু অংশ ভাঙা পড়বে। এটাকে রাস্তাকাটা বলা যাবে না।
সচিব আরও বলেন, ‘আপনারা দেখবেন রাজউক ৩০০ ফুট রাস্তার দুই দিকে লাইট লাগিয়েছে। কিন্তু রাস্তার মধ্যে (মাঝখানে) লাইট লাগানো হয়নি। এখন কি প্রশ্ন জাগে না, কেন লাইট লাগানো হয়নি? কারণ আমাদের মধ্যে সমন্বয় হয়েছে। মাঝ দিয়ে মেট্রোরেলের লাইন যাবে বিধায় লাইট লাগানো হয়নি। এটাই সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত। কারণ পৃথিবীর সব দেশেই রাস্তার মাঝে লাইট লাগানো হয়, যা এখানে লাগানো হয়নি।’