ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসে উত্থান হয় নেইমারের। ২০১৩ সালে উদীয়মান প্রতিভাকে স্পেনে নিয়ে আসে বার্সেলোনা। সেসময় রোনালদো নাজারিও, রোনালদিনহো, রিকার্দো কাকাদের পর নেইমারকে সেলেসাওদের সম্ভাব্য উজ্জ্বলতম তারকা ভাবা হতো।
ছন্দময় ফুটবলে নেইমারও হতাশ করেননি ভক্ত-সমর্থকদের। জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা জয়ের স্মৃতি না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে সেলেসাও শিবিরে রাজত্ব করছেন পিএসজি তারকা। নেইমারের পর অবশ্য ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, রাফিনহাদের উত্থান হয়েছে। যে কারণে ব্রাজিলের সাবেক তারকা কাফু মনে করেন, কাতার বিশ্বকাপে একা নেইমারের ওপর নির্ভর করতে হবে না দলকে।
ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কাফু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ব্রাজিল এখন আর শুধু নেইমারের ওপর নির্ভরশীল নয়। বিশেষ করে এই বছর। ভিনিসিউস, রদ্রিগো, রিচার্লিসন ও লুকাস পাকেতার মতো খেলোয়াড় আছে দলে। তারাও ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতাতে সক্ষম।
আর তাই চার বছর আগে শুধু নেইমারের ওপর নির্ভর করার পরিস্থিতিটা বদরে গেছে। চার বছর আগে এই প্রশ্ন করা হলে বলতাম, ব্রাজিল শুধু নেইমারের দিকেই তাকিয়ে আছে।’
২০১৪ সালে নেইমারকে কেন্দ্র করে বিশ্বকাপের ছক এঁকেছিলেন কোচ লুইজ ফেলিপে স্কলারি। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে ৪ গোল করে কোচের ভরসার প্রতিদান দেন নেইমার। ব্রাজিলও দৌর্দ- প্রতাপে এগিয়ে যেতে থাকে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে গুরুতর চোটে পড়েন নেইমার। দলের সেরা তারকা ছিটকে পড়ায় যেন আত্মবিশ্বাসই গুড়িয়ে যায় সেলেসাওদের। যার ফল সেমিফাইনালে দৃশ্যমান হয়। জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরে বিদায় নেয় ব্রাজিল।
২০১৮ সালেও নেইমার নির্ভর দল নিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে লড়েছে সেলেসাওরা। গ্রুপপর্বে একটি গোল করেন নেইমার। শেষ ষোলোয় মেক্সিকোকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার ম্যাচেও গোল করেন পিএসজি তারকা।
আগামী ২০শে নভেম্বর শুরু হবে কাতার বিশ্বকাপ। ২৫শে নভেম্বর সার্বিয়া ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করবে ব্রাজিল। ‘জি’ গ্রুপে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন।