দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে।
স্থানীয় সময় সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এ ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।
রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬। ভূমিকম্পের ফলে প্রান্তিক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, শক্তিশালী এই ভূমিকম্প সিচুয়ান প্রদেশের কাংডিং শহরের প্রায় ৪৩ কিলোমিটার (২৬ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে ১০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত আঘাত হানে।
সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংডু এবং চোংকিংসহ কাছাকাছি বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকবার আফটার শক অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে। যেখানে লাখ লাখ মানুষ এখন কোভিডের কারণে লকডাউনের আওতায় রয়েছে।
ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে একটি শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অন্য শহরের একটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে এবং ১০ হাজারের বেশি লোক বসবাসকারী একটি এলাকার টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এখনো উদ্ধার কাজ চলছে। সিচুয়ান ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীদের সহায়তার জন্য এক হাজারেরও বেশি সেনা পাঠানো হয়েছে দুর্যোগকবলিত এলাকায়। দেশটির কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তাঁবু, কম্বল এবং অন্যান্য সামগ্রী পাঠিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে মানুষের জীবন বাঁচানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশটিতে ভূমিকম্প একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ।
সিচুয়ানের ওয়েনচুয়ান কাউন্টিতে ২০০৮ সালে ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষ মারা যায় এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত জুনেও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুই দফায় ভূমিকম্পে অন্তত চারজন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হন।
এই অঞ্চলটির মানুষ গ্রীষ্মের চরম আবহাওয়ার কারণেও দুর্ভোগে পড়ে। রেকর্ড পরিমাণে তাপপ্রবাহের কারণে চোংকিং এর নদীগুলোর পানি শুকিয়ে গেছে।