একই ম্যাচে দেখা মিলল ম্যানচেস্টার সিটির দুই রূপ। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে শুরুর দিকেই তারা খেয়ে বসল দুই গোল। তবে বিরতির পর ঘুরে দাঁড়াল দোর্দণ্ড প্রতাপে। চমৎকার এক হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসলেন আর্লিং হলান্ড। জয়ের পথে ফিরল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার (২৭ আগস্ট) প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতেছে গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধে সিটির ব্যবধান কমান বের্নার্দো সিলভা। এরপর ১৯ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে জয়ের নায়ক চলতি দলবদলেই দলটিতে আসা হলান্ড।
আসরে চার ম্যাচে সিটির এটি তৃতীয় জয়। প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর গত রাউন্ডে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সঙ্গে ৩-৩ ড্র করেছিল তারা। গত মৌসুমে সিটির জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিল এই প্যালেস। লিগে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে হারের পর ফিরতি দেখায় গোলশূন্য ড্র করেছিল গুয়ার্দিওলার দল। একমাত্র দল হিসেবে তাদের বিপক্ষে জাল অক্ষত রেখেছিল প্যালেস।
এদিনও প্রথমার্ধে ছিল তেমন কিছুর ইঙ্গিত। চতুর্থ মিনিটেই আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে সিটি। প্রতিপক্ষের ফ্রি কিকে বক্সের ভেতর বল কাইল ওয়াকারের হাতের ওপরের দিকে লেগে আরেক ডিফেন্ডার জন স্টোনসের পা ছুঁয়ে জালে জড়ায়। সিটিকে স্তব্ধ করে দিয়ে ২১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে প্যালেস। সতীর্থের কর্নারে বক্সে জোরাল হেডে বল জালে পাঠান ডেনমার্কের ডিফেন্ডার ইওয়াখিম আনাসন।
২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচে ২১ মিনিটের মধ্যে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে সিটি। প্রথমার্ধে সিটি ছিল নিজেদের ছায়া হয়ে। এই সময়ে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য পাল্টে যায় চিত্র। ৫৩তম মিনিটে ব্যবধান কমান বের্নার্দো সিলভা। রদ্রির পাস ধরে বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের বাধা এড়ান পর্তুগিজ মিডফিল্ডার। এরপর তার নিচু শট প্যালেসের এক ডিফেন্ডারের পা ছুঁয়ে জালে জড়ায়।
এরপরই শুরু হলান্ডের জাদু। ৬২তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। ফিল ফোডেনের ক্রসে কাছ থেকে হেডে গোলটি করেন নরওয়ের ফরোয়ার্ড। ৭০তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন হলান্ড। ছোট করে কর্নারের পর কয়েক জনের পা হয়ে বল পেয়ে যান স্টোনস। তিনি অবশ্য ঠিকমতো শট নিতে পারেননি। পোস্টের কাছেই থাকা হলান্ড ফাঁকা জালে বল পাঠান। আর ৮১তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। ইলকাই গিনদোয়ানের পাস ধরে বক্সে ঢুকে সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের বাধা এড়িয়ে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ২২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। প্রিমিয়ার লিগে চার ম্যাচে হলান্ডের গোল হলো ৬টি।
এর পরপরই হলান্ডকে তুলে সের্হিও গোমেজকে নামান গুয়ার্দিওলা। সিটির জার্সিতে অভিষেক হয় তরুণ এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের। বাকি সময়ে আর উল্লেখযোগ্য সুযোগ মেলেনি।