মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের গোল উৎসবে পিএসজির ৭

মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের গোল উৎসবে পিএসজির ৭

খেলাধুলা
বিরোধ রয়েছে লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও কাইলিয়ান এমবাপ্পের মধ্যে। কিন্তু মাঠে দেখা নেই এর ছিটেফোঁটাও। পিএসজির এই তিন তারকা এক সাথে মাঠে নেমেই উড়িয়ে দিলেন সব গুঞ্জন।

রোববার (২১ আগস্ট) রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে আবারও একসঙ্গে জ্বলে উঠলেন পিএসজির সুপার থ্রি। এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক, নেইমারের জোড়া ও মেসির এক গোলে লিলের বিপক্ষে ৭-১ গোলের বড় ব্যবধানে জিতলো পিএসজি।

এ নিয়ে চলতি লিগের প্রথম তিন ম্যাচে পিএসজির গোল এখন ১৭টি। ৭২ বছরে প্রথম তিন ম্যাচে পিএসজির ১৭ গোলই সর্বোচ্চ। প্রায় ৭২ বছর আগে ১৯৫০-৫১ মৌসুমে প্রথম তিন ম্যাচে ১৮ গোল করেছিল রেনে।

ফর্মের চূড়ায় রয়েছেন নেইমার। আগের ম্যাচেও করেছিলেন জোড়া গোল, দুইবার বল জালে জড়ালেন এ ম্যাচেও। সবমিলিয়ে তিন ম্যাচে পাঁচ গোলের সঙ্গে ছয়টি অ্যাসিস্টও করেছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।

লিলের মাঠে খেলতে গিয়ে লিড নিতে একদমই দেরি করেনি পিএসজি। ম্যাচের মাত্র ৮.৩৬ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে বসেন এমবাপ্পে। মাঝমাঠ থেকে মেসির লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে সহজেই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি তরুণ।

ফ্রেঞ্চ লিগে ২০০৫-০৬ মৌসুম থেকে পরিসংখ্যান সংরক্ষণের পর থেকে এমবাপ্পের এই গোলই দ্রুততম গোলের রেকর্ড। প্রথমার্ধেই পিএসজি চারটি গোল করে ফেলে, দ্বিতীয়ার্ধে করে আরও তিনটি।

এমবাপ্পেকে দিয়ে গোল করানোর পর ২৭ মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলেন মেসি নিজেই। নুনো মেন্ডেসের সঙ্গে চমৎকার বোঝাপড়ায় ডান পায়ের ফিনিশিংয়ে চলতি লিগে নিজের তৃতীয় গোলটি করেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।

বিরতিতে যাওয়ার আগে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে নেইমারের অ্যাসিস্ট থেকে আশরাফ হাকিমি ও পরে ৪৩ মিনিটে নেইমার নিজেই গোল করে দলের হালি পূরণ করেন। বিরতি থেকে ফিরে ৫২ মিনিটে আবার গোল করেন ব্রাজিলের পোস্টারবয়।

এর দুই মিনিট পর অবশ্য এক গোল শোধ করে দেয় লিল। তবে ৬৬ ও ৮৭ মিনিটে নেইমারের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক তুলে নেন এমবাপ্পে। এত পিএসজির স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৭ গোল।

তিন ম্যাচে ১৭ গোল করে পাওয়া তিন জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই অবস্থান করছে পিএসজি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *