শুধু গাঁজা খেতে থাইল্যান্ডে যাওয়া বারণ

শুধু গাঁজা খেতে থাইল্যান্ডে যাওয়া বারণ

আন্তর্জাতিক
করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্প আবার চাঙা হয়ে উঠছে ৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এখন অনেকেই যাচ্ছেন শুধু গাঁজা সেবন করতে৷ এমন পর্যটক অবশ্য আর চায় না থাই সরকার।

থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্পে গাঁজার পরোক্ষ প্রভাব, ২০১৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে চিকিৎসার প্রয়োজনে পরিমানমতো গাঁজা সেবন বৈধ ঘোষণা করে থাইল্যান্ড৷ পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে সেখানে গিয়েছিল প্রায় চার কোটি পর্যটক৷ এর আগে কখনো এক বছরে এত পর্যটক পায়নি থাইল্যান্ড৷

গাঁজাকেন্দ্রিক শিল্প, চিকিৎসার প্রয়োজনে গাঁজা সেবন বৈধ হবার পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি গাঁজা বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন করেছে৷ নীতিমালায় দেশের ওষুধ শিল্পকে ঘিরে ৭৯০ মিলিয়ন ডলারের গাঁজা শিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে৷

করোনায় করুণ দশা, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর বিশ্বের সব দেশের মতো থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্পেও নামে বিপর্যয়৷ ২০১৯ সালে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক পেলেও ২০২০ সালে সে-দেশে পর্যটক যেতেই পারেনি, ২০২১ সালে গিয়েছিল মাত্র চার লাখ ২৮ হাজার জন৷

গাঁজায় গা-ঝাড়া, তবে চলতি বছর গাঁজার বিষয়ে আরো ‘উদার’ হয়েছে থাই সরকার৷ গত জুনে গাঁজাকে পুরোপুরি বৈধতা দেয়া হয়৷ ফলে অনেক দোকানেই এখন গাঁজা পাওয়া যায়৷ কোনো কোনো দোকানে ‘স্মোকিং রুম’-এ বসে সেবনও করা যায়৷ এমন সুযোগ আছে যে দেশে গাঁজাসেবীরা তো সেই দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারেন না, তাই গাঁজাসেবী পর্যটকের যেন ঢল নেমেছে থাইল্যান্ডে! ওপরের ছবিতে এক ল্যাবরেটরিতে গাঁজা থেকে ওষুধ বানানোর দৃশ্য৷

স্বাস্থমন্ত্রীর ঘোষণা, এ বছর গাঁজাসেবী পর্যটক এতটাই বেড়েছে যে ইতিমধ্যে এ বিষয়ে কঠোর হওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে সরকার৷ বেশি মাত্রায় সেবন করার ফলে নেশাগ্রস্ত হয়ে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছেন কেউ কেউ৷ তাই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বুধবার থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনুতিন চারনভিরাকুল বলেছেন, ‘‘ (শুধু গাঁজা সেবন করতে আসেন) এমন পর্যটক আমরা চাই না৷ আমরা আর তাদের স্বাগত জানাতে চাই না৷’’

প্রকাশ্যে ধূমপানে কঠোর শাস্তি, থাইল্যান্ডে প্রকাশ্যে ধূমপান করলে তিনমাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার বাখ, অর্থাৎ ৭০৫.৮২ ডলার জরিমানা হতে পারে৷ অতিরিক্ত গাঁজা সেবন করে অন্যের জন্য সমস্যা তৈরি করলেও রয়েছে শায়েস্তা হওয়ার আশঙ্কা৷

পর্যটনে নতুন লক্ষ্য, ২০২১ সালে মাত্র চার লাখ ২৮ হাজার জন পর্যটক পেয়েছিল থাইল্যান্ড৷ তবে এ বছর ৮০ লাখ থেকে এক কোটি পর্যটক দেশটি দেখতে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ যারা যাবেন তাদের অনেকেরই যে আকর্ষণের তালিকায় সবার ওপরে গাঁজা থাকবে তাতে আর সন্দেহ কী!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *