ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্রিমিয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল এবং ক্রিমিয়ার স্বাধীনতার মধ্যে দিয়েই শেষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ব্রিটিশি সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
ক্রিমিয়া উপদ্বীপে রুশ একটি বিমানঘাঁটিতে কয়েক দফা বিস্ফোরণে একজন নিহত হওয়ার কিছুক্ষণ পর দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
জেলেনস্কি তার বক্তব্যে বিস্ফোরণের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি তবে তিনি বলেছেন, ক্রিমিয়া ইউক্রেনেরই অংশ এবং আমরা কখনই এটা ছেড়ে দেব না।
ক্রিমিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের অংশ। কিন্তু ২০১৪ সালে একটি গণভোটের পর থেকে ক্রিমিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে অবৈধ হিসাবে দেখে। অনেক ইউক্রেনীয় মনে করেন তখন থেকেই রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ জড়িয়েছে ইউক্রেন।
মঙ্গলবার ক্রিমিয়ার পশ্চিমে রুশ পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় নভোফেডোরিভকার কাছে সাকি সামরিক ঘাঁটিতে কয়েক দফা বিস্ফোরণ ঘটে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ফুটেজে দেখা যায় বিস্ফোরণের সময় সমুদ্র সৈকতে থাকা পর্যটকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন তারা কমপক্ষে ১২টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। ক্রিমিয়ায় রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলছে গোলাবারুদের একটি গুদামে বিস্ফোরণগুলো হয়েছে।
ঘটনার সাথে ইউক্রেনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক। ডজড নামে একটি অনলাইন টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, অবশ্যই নয়। এর সাথে আমাদের কী আছে?
ইউক্রেন যদি ক্রিমিয়ায় কোনো হামলা চালায় তবে সেটাকে খুবই গুরুতর একটি পদক্ষেপ হিসাবে নেবে রাশিয়া। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ গতমাসেই এ বিষয়ে ইউক্রেনকে হুঁশিয়ার করে দেন।