যুক্তরাজ্যের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
বরিস জনসনের হদিস জানতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। সেখানকার কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী ছুটি কাটাচ্ছেন। তবে তিনি বর্তমানে কোথায় রয়েছেন— এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ডাউনিং স্ট্রিটের কোনো কর্মকর্তা।
যুক্তরাজ্যের দৈনিক পত্রিকা টাইমসের এক প্রতিবেদনে অবশ্য বলা হয়েছে, বরিস জনসন তার স্ত্রী ক্যারি সাইমন্ডসের সঙ্গে বর্তমানে মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়ায় রয়েছেন; সেখানে বিলম্বিত মধুচন্দ্রিমা উদযাপন করছেন তারা।
কিন্তু এই তথ্যের সপক্ষে তেমন কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি পত্রিকাটি। ফলে, তিনি বর্তমানে কোথায় রয়েছেন— তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ব্রিটেনের বাণিজ্য, বিদ্যুৎ ও শিল্পমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং এএফপিকে বলেন, ‘আমি জানিনা বরিস জনসন এখন কোথায়। তবে তার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে আমি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’
লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মদের পার্টি কেলেঙ্কারি, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টি ও বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপিদের প্রচণ্ড চাপের মুখে গত ৭ জুলাই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতার পদ থেকেও তিনি অব্যাহতি একরকম নিশ্চিত হয়ে যায়।
তবে এ দুই গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও আগামী শরৎকাল পর্যন্ত দেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। চলতি গ্রীষ্মে কনজারভেটিভ দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী অক্টোবরে টরি পার্টির সম্মেলনে নির্বাচিত দলীয় প্রধান নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন।
যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে দুজন বর্তমানে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন, তারা হলেন— দেশটির পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী লিজ ট্রাস ও বর্তমান সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাক।