বয়কটের মুখে আমির খানের ‘লাল সিং চাড্ডা’

বয়কটের মুখে আমির খানের ‘লাল সিং চাড্ডা’

বিনোদন
আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। ১১ আগস্ট থেকে ভারতের হলে চলবে আমির খানের সিনেমা ‘লাল সিং চাড্ডা’। কিন্তু এরই মধ্যে ‘বয়কট লাল সিং চাড্ডা’ হ্যাশট্যাগে টুইটারে শুরু হয়েছে সিনেমাটি বয়কটের ডাক। বয়কটের ডাক দেওয়ার মূলে রয়েছে ২০১৫ সালে দেওয়া আমির খানের পুরোনো একটি বক্তব্য। ওই সময় ভারতের সঙ্গে ‘আনসেফ’ শব্দটি জুড়েছিলেন তিনি।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আমির বলছেন, ‘আমি কখনো বলিনি ভারত অসহনশীল বা আমি দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাই। আসলে আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। আমি ভারতে জন্মেছি। আমৃত্যু এখানেই থাকব।’

তবে সমালোচনা কিংবা ব্যর্থতাকে বরাবরই সাফল্যের পাশে রেখে উদ্‌যাপন করেন আমির খান। তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে, কলেজে পড়ার সময় একবার একটি নাটকের জন্য রিজেক্টেড হয়েছিলাম। কিন্তু নিরাশ না হয়ে অন্য একটা গুজরাটি নাটকের অডিশনে চলে গিয়েছিলাম। আমি প্রত্যাখ্যানে হতাশ হই না। একটা দরজা বন্ধ হলে অন্য দরজায় টোকা দিই।’

আলোচিত হলিউড সিনেমা ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর রিমেক ‘লাল সিং চাড্ডা’। যেদিন ‘লাল সিং চাড্ডা’র ট্রেলার প্রকাশ হয়েছিল, সেদিন থেকেই সমালোচনা সহ্য করতে হচ্ছে আমিরকে। ভক্তদের একাংশের প্রশ্ন, এত বিষয় থাকতে কেন রিমেকেই ভরসা রাখতে হলো তাকে? ট্রেলারের বিভিন্ন দৃশ্য ও সংলাপ নিয়েও যথেষ্ট হাসাহাসি হয়েছে। বিষয়টি এত জটিল পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন আমির খান। সিনেমা বয়কটের ডাকে কষ্টই পেয়েছেন তিনি।

আমির বলেন, ‘যারা এ ধরনের কথা বলছেন, তারা হয়তো মনে করছেন, আমি ভারতকে ভালোবাসি না। কিন্তু এটা সত্যি নয়। এটা খুব দুঃখজনক যে কেউ কেউ এমনটা ভাবছেন। আমার সিনেমাকে বয়কট করবেন না প্লিজ।’

উল্লেখ্য, আমির খান অভিনীত ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দঙ্গল’ ছিল সুপারহিট। পরের বছর ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ও প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তবে ‘থাগস অব হিন্দুস্তান’ করার জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল আমিরকে। পাঁচ বছরের বেশি সময় ব্যবসায়িক সাফল্য থেকে দূরে তিনি। তাই এবার কোমর বেঁধে বক্স অফিসে ঝড় তুলবেন আমির, এমনই ছিল প্রত্যাশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *