পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঝুকিপূর্ণ রাজধানীর পাঁচ এলাকায় আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে চলছে কলেরার দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান। তবে সপ্তাহব্যাপী এই কার্যক্রমের প্রথম দিনে তেমন সাড়া মিলছে না। আবার অনেকে টিকা নিতে আসলেও সঙ্গে কার্ড না আনায় ফেরত যেতে হয়েছে। তবে যারা নিয়ম মেনে টিকা নিতে এসেছেন, কোন ধরনের ঝক্কি ঝামেলা ছাড়াই নিতে পারছেন।
রাজধানীর সবুজ, বাসাবো, মুগদাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। বুধবার সকাল ৮টায় রাজধানীর সবুজবাগের ১৭০টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে টিকাদান। এসব এলাকার জন্য ৪ লাখ ১৭ হাজার টিকা বরাদ্দ। তবে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত খুব একটা সাড়া নেই।
উত্তর বাসাবো কেন্দ্রের হিসাবরক্ষক আব্দুল্লাহ জুবায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিকা নিতে আমরা মাইকিং করেছি। সঙ্গে করে কার্ড আনতে বলেছিলাম। কিন্তু অনেকে সেই নির্দেশনা মানেননি। ফলে তাঁদের ফেরত পাঠাতে হচ্ছে। সকাল থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে তিনশজন টিকা নিয়েছেন। যেহেতু সময় আছে, আশা করা হচ্ছে টিকা নেওয়ার হার বাড়বে।’
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর, বি) পরিচালিত মুখে খাওয়ার এই টিকা কার্যক্রম রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের সাতশ কেন্দ্রে চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এর মধ্যে সবজুবাগ ছাড়াও যাত্রবাড়ীতে ১০০টি, দক্ষিণখানে ১৫৭টি, মিরপুরে ৯৫টি এবং মোহাম্মদপুরে ১৭৮টি কেন্দ্র রয়েছে। এসব এলাকায় ২৩ লাখ ৬৫ হাজার ৫৮৫ জনকে দেওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজের এই টিকা।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কো. লিমিটেডের তৈরি ইউভিকল প্লাস নামের কলেরার টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদিত।
এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীরা নিতে পারছেন এ টিকা। গর্ভবতী মহিলা এবং যারা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে অন্যকোনো টিকা নিয়েছে তারা ব্যতীত সকলেই এই টিকা নিতে পারবেন। এই টিকা নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অন্যকোনো টিকা নেওয়া যাবে না। এর আগে গত ২৬ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত দেওয়া হয় প্রথম ডেজ।
দেশে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি হওয়ায় কলেরায় আক্রান্তও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। কেবল আইসিডিডিআর, বি হাসপাতালে যেসব ডায়রিয়ার রোগী আসছে, তাদের ২০ ভাগই কলেরায় আক্রান্ত। আর ঢাকার বাইরে এই হার ১০ শতাংশ।