এশিয়ার সবচেয়ে ধনী নারী হলেন ভারতের সাবিত্রী জিন্দাল। চীনের ইয়াং হুইয়ানকে পিছনে প্রথম স্থান দখল করলেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের সম্পত্তি সংকটের জেরে এশিয়ার ধনী মহিলার তকমা হারালেন ইয়াং। শুক্রবার (২৯ জুলাই) ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, সাবিত্রী জিন্দালের সম্পতির পরিমাণ ১১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।
৭২ বছর বয়সী জিন্দাল ভারতের ১০তম ধনী। ২০০৫ সালে তার স্বামী ওপি জিন্দাল একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপরই জিন্দাল গ্রুপের চেয়ারম্যান হন সাবিত্রী দেবী। কোম্পানিটি ভারতে তৃতীয় বৃহত্তম ইস্পাত উৎপাদক এবং সিমেন্ট, শক্তি তৈরিতেও কাজ করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জিন্দালের সম্পদের পরিমাণ ব্যাপকভাবে ওঠানামা করেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর শুরুতে এপ্রিলে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। তারপর ২০২২ সালের এপ্রিলে সম্পতি ১৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেনের আক্রমণের ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়।
একদিকে মা-স্ত্রী, অন্যদিকে দেশের অন্যতম বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন, সবদিক সামলে সাবিত্রী সামনে এগিয়েছেন। তার মোট নয় সন্তানের মধ্যে চারজন পুত্রসন্তান রয়েছেন। ওপি জিন্দালের মৃত্যুর পরে চার পুত্রের মধ্যে জিন্দাল গোষ্ঠীর ব্যবসা ভাগ হয়ে গিয়েছে। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা গিয়েছে সজ্জন জিন্দালের অধীনে।
জেএসডব্লিউ সহ জিন্দাল গোষ্ঠীর সবথেকে বড় সম্পত্তির অধিকারী তিনিই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সাবিত্রী জিন্দালের নিজস্ব উজ্জ্বল উপস্থিতি রয়েছে। জীবিত অবস্থায় হরিয়ানা সরকারের মন্ত্রী ছিলেন ওপি জিন্দাল। তার মৃত্যুর পরে হরিয়ানা বিধানসভায় নির্বাচিত হন সাবিত্রী জিন্দাল। বর্তমানে তিনি কংগ্রেসের সদস্য।