জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেতৃত্বের অভিষেক হচ্ছে নুরুল হাসান সোহানের। অধিনায়ক হিসেবে নাম ঘোষণার দিনই নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জটা উপভোগ করতে চান বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছিলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। একই সঙ্গে মাঠে ভয়ডরহীন ক্রিকেটের প্রতিশ্রুতিও দিলেন বাংলাদেশ দলের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ সংবাদ সম্মেলনে দল নিয়ে নিজের চিন্তা-ভাবনার কথা জানিয়েছেন সোহান। ভয়ডরহীন ক্রিকেটকে টি-টোয়েন্টির মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে দেখা হয়। অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর দলের কাছ থেকে ইতিবাচক মানসিকতা দেখতে চান জানিয়ে সোহান বলেন, ‘আমার কাছে মূল যে জিনিসটা মনে হয়, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
অবশ্যই চেষ্টা করব যাতে এটা করতে পারি। আগে থেকে ফল নিয়ে চিন্তা করলে অনেক সময় প্রসেসটা ঠিক থাকে না। আমার কাছে মনে হয়, ভয়ডরহীন থাকলে ইতিবাচক ব্যাপার হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।’
অধিনায়ক হিসেবে দলের কাছ থেকে শতভাগ চান সোহান। নিজেদের সেরাটা দিলেই যে সব সময় সফলতা আসবে সেটা মনে করেন না তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখতে চান সোহান, ‘দেখেন সবাই সবার ক্ষেত্রে আলাদা। একজনের সঙ্গে আরেকজনের মেলানো কঠিন।
আমি সবার কাছ থেকে এটাই চাইব, যেন যে যার জায়গা থেকে শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করি। এমন না যে শতভাগ দিলেই সফল হব। এখানে প্রসেসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই যদি শতভাগ দিয়ে মন থেকে চেষ্টা করি, ইনশা আল্লাহ ভালো কিছু হবে।’
নেতৃত্বের সঙ্গে এই সংস্করণে নিজের ব্যাটিংয়েরও চ্যালেঞ্জও থাকছে সোহানের। টি-টোয়েন্টিতে এখনো নিজেকে প্রমাণের অপেক্ষায় তিনি। নিজের ব্যাটিং নিয়ে সোহান বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমি যেটা বললাম, রানের চেয়ে ইম্প্যাক্ট জরুরি। এমন যে আজ ১৫-২০ রান করলাম, পরের ম্যাচে রান না করলে কথা উঠবে।
১৫-২০ রান সংখ্যায় কম দেখা যায়, এর চেয়ে খেলার ওপর কতটা প্রভাব রাখতে পারছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টিতে আমি যেখানে ব্যাট করি সেখানে ৫০ বা ১০০ করার সুযোগ কম থাকে। আমার কাছে মনে হয়, দলের চাহিদা অনুসারে যে প্রভাব ফেলা দরকার সেটা ফেলতে চাই।’