ইতিমধ্যে সানিয়া মির্জা জানিয়ে দিয়েছেন, এটাই তার শেষ উইম্বলডন। মর্যাদার ঘাসের কোর্টে ক্যারিয়ারের শেষটা রাঙানোর পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছেন ভারতীয় টেনিসার।
নারী দ্বৈত বিভাগে ব্যর্থ হলেও মিশ্র দ্বৈতে শিরোপার পথে এগিয়ে গেছেন বেশ। গতপরশু কোয়ার্টারে হারিয়েছেন চতুর্থ বাছাই জুটিকে। ৬-৪, ৩-৬, ৭-৫ ব্যবধানের জয় নিয়ে সঙ্গী ক্রোয়েশিয়ার মেট পেভিককে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে গেছেন প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে। উইম্বলডনের মিশ্র দ্বৈতে এটাই তার সর্বো”চ অর্জন।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়াকওভার পেয়েছিলেন সানিয়া-পেভিক। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ছিলেন জন পিয়ার্স এবং গ্যাব্রিয়েলা ডাবরস্কি। চতুর্থ বাছাই এই জুটির বিরুদ্ধে দারুণ লড়তে হলো দু’জনকে। এক ঘণ্টা ৪১ মিনিট লড়াই শেষে অবশ্য শেষ হাসিটা হেসেছেন সানিয়ারাই। লড়াইয়ের প্রথম সেটে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হেরে যান তারা। তৃতীয় সেটে সানিয়াদের দারুণ প্রত্যাবর্তন বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেয় ডাবরস্কিদের। তাতেই ৭-৫ ব্যবধানের জয় তুলে নিয়ে তারা চলে যান প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে।
এদিকে, উইম্বলডনে খেলতে পারছেন না রাশিয়ার কোনো খেলোয়াড়। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়ায় বেলারুশের খেলোয়াড়দেরও একই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উইম্বলডন। বিষয়টি মেনে নেয়নি উইমেন্স টেনিস অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউটিএ) ও অ্যাসোসিয়েশন অব টেনিস প্রফেশনালস (এটিপি)।
যে কারণে বড় জরিমানা করা হয়েছে উইম্বলডনের আয়োজক অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব (এইএলটিসি) ও লন টেনিস অ্যাসোসিয়েশনকে (এলটি)। দ্য ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী এইএলটিসিকে সাড়ে ৭ লাখ ডলার ও এলটিএকে আড়াই লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে।
পাশাপাশি এবারের উইম্বলডনে কোনো র্যাংকিং পয়েন্ট দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ডব্লিউটিএ ও এটিপি ট্যুর।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবশ্য এরই মধ্যে আবেদন করেছে অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব। ক্লাবের প্রধান নির্বাহী স্যালি বোল্টন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আপিল করেছি।’ তবে শুনানি হওয়ার আগেই জরিমানার পুরো অর্থ পরিশোধ করতে হবে উইম্বলডন আয়োজকদের।