আমি মাংকিপক্সের প্রাদুর্ভাবে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন -গেব্রিয়াসিস

আমি মাংকিপক্সের প্রাদুর্ভাবে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন -গেব্রিয়াসিস

আন্তর্জাতিক
স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস। তিনি বলেন, ‘আমি মাংকিপক্সের প্রাদুর্ভাব নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, এটি স্পষ্টতই একটি স্বাস্থ্য হুমকি যা আমার সহকর্মী, আমি এবং ডব্লিউএইচও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি’। রবিবার (২৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।
বিশ্বের অনেক দেশে মাংকিপক্স শনাক্তে আলোচনার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসকদের এক জরুরি শীর্ষ বৈঠক আহ্বান করা হয়। তবে এটিকে এখনই ‘গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি’ বা বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি নয় বলছে ডব্লিউএইচও।

চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে ৫০ দেশে তিন হাজার মানুষ মাংকিপক্স শনাক্ত হয়েছে। যেসব দেশে এতদিন রোগটি শনাক্ত হয়নি সেখানেও দেখা যাচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, গত কয়েক দশকে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে মাংকিপক্স ছড়িয়েছে। এর জন্য পর্যাপ্ত গবেষণা, মনোযোগ এবং অর্থায়নে অবেহলা রয়েছে।

এটি অবশ্যই পরিবর্তিত হবে – শুধু মাংকিপক্স নয় বরং নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে অন্যান্য রোগ নিয়ে অবেহলার কারণ নেই।

যারা মাংকিপক্সে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছে তারাও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে নতুন করে আরও অনেকে শনাক্তের শঙ্কা রয়েছে।

স্মলপক্সের মতোই উপসর্গ দেখা যায় মাংকিপক্স আক্রান্তদের মধ্যে। যদিও এই রোগের ভয়াবহতা স্মলপক্সের তুলনায় কম। উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে, জ্বর, মাথাব্যথা, পেশির ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ক্লান্তি, কাঁপুনি।

মাংকিপক্সে আক্রান্তদের নির্দিষ্ট ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। পরিসংখ্যান অনুসারে, স্মলপক্সের টিকা ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে মাংকিপক্সের বিরুদ্ধে কাজ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *