২০১৬-১৭ মৌসুমে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস লীগ খেলেছে আর্সেনাল। সেবার রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকে বাদ পড়ার পর টানা চার মৌসুম ইউরোপ সেরার মঞ্চে ঠাঁই হয়নি গানারদের। আগামী মৌসুমেও ইউসিএলে সুযোগ না পাওয়ার শঙ্কা জেগেছে মাইকেল আর্তেতার দলের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের পঞ্চম স্থানে থাকা আর্সেনাল সবশেষ ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের মাঠে হেরেছে ৩-০ গোলে।
ম্যাচ হারলেও গোটা ম্যাচেই ছিল আর্সেনালের দাপট। ৬৯ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১২টি শট নেয় আর্সেনাল। যার লক্ষ্যে ছিল ৩টি। অপরদিকে মাত্র ৩১ শতাংশ বল দখলে রাখা ক্রিস্টাল প্যালেস ৬টি শটের ৫টি লক্ষ্যে রাখে।
সোমবার দিবাগত রাতে সেলহার্স্ট পার্ক স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই দুই গোলের লিড পায় ক্রিস্টাল প্যালেস। ১৬ মিনিটে জোয়াকিম অ্যান্ডারসেনের অ্যাস্টিস্টে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার জিন-ফিলিপ্পে মাতেতা।
আট মিনিট পর আবারো দলের গোলে ভূমিকা রাখেন অ্যান্ডারসেন।
তার পাসে বল পেয়ে বাঁ পায়ের দূরপাল্লার শটে বল জালে জড়ান ঘানার ফুটবলার জর্ডান আইউ।
নিজেদের ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে বাজেভাবে ফাউল করে বসেন মার্টিন ওডেগার্ড। রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। ৭৪ মিনিটের মাথায় স্পটকিক থেকে গোল করেন আইভরি কোস্টের ফরোয়ার্ড উইলফ্রেড জাহা।
এমন হারে নাখোশ আর্সেনাল কোচ আর্তেতা। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘ম্যাচে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারিনি। বিশেষত প্রথমার্ধে। আমরা প্রতিটি বলে (পাসে) দেরি করছিলাম, খেলায় দাপট দেখাতে পারছিলাম না। বিরতির আগে বাজেভাবে দুই গোলে পিছিয়ে যাই আমরা। সামগ্রিকভাবে এই ফল অগ্রহণযোগ্য। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী (এমন পারফরম্যান্সে) এবং আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
২৯ ম্যাচে ১৭ জয় ও ৯ হারে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে আর্সেনাল। চতুর্থ স্থানে থাকা টটেনহ্যামের পয়েন্টও ৫৪। স্পারদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা আর্সেনালের তাই সহজ সুযোগ ছিল সেরা চারে প্রবেশ করার। তিন উন্নতি হয়েছে ঘরের মাঠে বড় জয় পাওয়া ক্রিস্টালের। ৩০ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে তারা।
শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৩০ ম্যাচে ৭৩। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে রয়েছে লিভারপুল।