করোনার কারণে স্টেজ আয়োজন কমে আসলেও গত দুই মাস ধরে বেশ নিয়মিতই হচ্ছে শো। শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে সরব সময় পার করেছেন স্টেজ নিয়ে। এরমধ্যে কন্ঠশিল্পী ঝিলিকও ব্যস্ত ছিলেন শো নিয়ে।
পাশাপাশি করে গেছেন নিয়মিত গান। সব মিলিয়ে কি অবস্থা? দিনকাল কেমন কাটছে? ঝিলিক বলেন, ভালো আছি। তবে ব্যস্ততায় কাটছে সময়টা। ব্যস্ততাটা কি নিয়ে? এ গায়িকা বলেন, শো নিয়ে ছিল মূল ব্যস্ততা। বেশ কিছু শো করেছি এ কদিনে।
সর্বশেষ ৩১শে মার্চ ফ্যান্টাসি কিংডমে শো করেছি। দারুণ সাড়া মিলেছিল। তাছাড়া নতুন গান রেকর্ডিংয়েও ব্যস্ততা গেছে।
এখন যেহেতু রমজান মাস চলে এসেছে তাই শো বন্ধ থাকবে। বিপরীতে টিভি অনুষ্ঠান ও গান রেকর্ডিংয়ের পরিমাণটা বাড়বে। সাধারণত রমজান মাসটা কিভাবে কাটানো হয়? উপলব্ধি কি? ঝিলিক বলেন, এটি আমাদের মুসলমানদের জন্য পবিত্র একটি মাস। ইবাদত করেই সাধারণত সবাই দিনগুলো পার করে। আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নই। রোজা-নামাজ নিয়মিতই করা হয়। সত্যি বলতে এ মাসটি এলেই চারিদিকে অন্যরকম আমেজ বিরাজ করে। রোজা চলে গেলে সেই আমেজটা খুব মিস করি। ইবাদতের বাইরে বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ততা চলবে মাসজুড়ে। নতুন গানের কি খবর? এ গায়িকা বলেন, নতুন গান হচ্ছে।
তবে মোটামুটি সবারই সংখ্যায় কম। আমি এ বছর প্রেমের বাইরেও বিয়ষভিত্তিক কিছু গান গেয়েছি। এ ধরনের গান করার সুযোগ খুব কম থাকে। তবে এবার আমার করা হয়েছে। সাড়াও মিলেছে ভালো। নতুন কয়েকটি গান আগেই করা আছে। রোজার মধ্যে নতুন গান রেকর্ড করবো। এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। বিয়ের বাদ্য বাজছে কবে? এ গায়িকা হেসে বলেন, এখন আসলে কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। বিয়ে নিয়ে এখনই ভাবছি না। আরও সময় আছে। যখন মনে হবে সঠিক সময় এসেছে তখনই বিয়ে করবো।
গানের ক্ষেত্রে পরিবারের সাপোর্টটা কেমন? এ গায়িকার উত্তর-আমার সহকর্মী কিংবা কাছের মানুষেরা সবাই জানেন আমার গানের ক্ষেত্রে পরিবারের কত বড় সাপোর্ট আর উৎসাহ আমি পাই। আমার বাবা নিজেও একজন শিল্পী। বাবা-মা দুজনের এমন সহযোগিতা না থাকলে আসলে এ পর্যন্ত আসা সম্ভব হতো না।