ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দেশটির উত্তরাঞ্চল থেকে রাশিয়া সেনা সদস্যদের সরিয়ে নিচ্ছে। এ প্রক্রিয়াকে ‘ধীর গতির, তবে লক্ষ্যণীয়’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সর্বশেষ প্রকাশিত এক ভিডিওতে জেলেনস্কি এসব কথা বলেন। শনিবার আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সামনের দিকে এগোচ্ছি এবং সতর্কভাবে এগোচ্ছি।’ তিনি উল্লেখ করেন যে, ইউক্রেনের ভবন, যানবাহন ও মানুষজন মাটিতে পুঁতে রাখা বোমার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
একইসঙ্গে জেলেনস্কি পূর্ব ইউক্রেনের পরিস্থিতিকে ‘চরম কঠিন’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ, উত্তরের রুশ সেনারা ওই অঞ্চলে এসে জড়ো হচ্ছেন এবং নতুন করে শক্তিশালী হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলটি দোনবাস এলাকা হিসেবে পরিচিত, যেখানে দোনেতস্ক ও লুহানস্ক নামে দুটি প্রজাতন্ত্রের স্বীকৃতি দিয়ে রাশিয়া। এ অঞ্চলে রুশ ভাষাভাষীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। বহু বছর ধরে সেখানে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলেনস্কি তার ভিডিও ভাষণে বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, সামনে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে। আমি মনে করি না যে, সব পরীক্ষায় আমরা ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছি।’
এ প্রেক্ষাপটে মার্কিন থিংক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার বলেছে, রাশিয়া এখন মারিউপোল, দোনেতস্ক ও লুহানস্কের দিকে চোখ রাখছে।
সংস্থাটি বলছে, মারিউপোল দখলের লক্ষ্যে রাশিয়ার মূল ফোকাস এখন পূর্ব ইউক্রেনে। সেইসঙ্গে তারা দোনেতস্ক ও লুহানস্কের পুরো অঞ্চল তাদের কব্জায় নিতে চাইবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী।
যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ।
সূত্র জানায়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ সামরিক বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও।
রাশিয়ার গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খারকিভ, মারিওপল শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে।