চিরনিদ্রায় শায়িত সাহাবুদ্দীন আহমদ

চিরনিদ্রায় শায়িত সাহাবুদ্দীন আহমদ

বাংলাদেশ
দ্বিতীয় জানাজা শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সহধর্মিণীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। সকালে ১০টা ২৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীরসহ সাহাবুদ্দীনের পরিবার ও কাছের মানুষজন দাফনে অংশ নেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতির প্রথম জানাজা গতকাল শনিবার বেলা ২টায় নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় তার নিজ গ্রাম পেময়ীতে অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাহাবুদ্দীন আহমদ। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হওয়া সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৯০ সালের জানুয়ারিতে দেশের ষষ্ঠ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।

নব্বইয়ের গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রে ফেরার প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাহাবুদ্দীন। ১৯৯৫ সালে অবসর নেন।

১৯৯৬ সালে পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০১ সালে মেয়াদ শেষে সেই দায়িত্ব ছাড়েন তিনি।

এরপর ঢাকার গুলশানের বাড়িতে অনেকটা নিভৃত জীবন যাপন করছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। গুলশানের গ্র্যান্ড প্রেসিডেন্ট কনকর্ডে ছয়তলা ভবনটির দোতলায় থাকতেন সাহাবুদ্দিন আহমদ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধ্যক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সাহাবুদ্দীন আহমদের দুই ছেলে রাজধানীর গুলশানের বাসায় বাবার সঙ্গেই থাকেন। আর তার দুই মেয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।

সহধর্মিণী আনোয়ারা আহমদ গত ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। সেই থেকে আরও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন ৯২ বছর বয়সী সাহাবুদ্দীন আহমদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *