নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে টার্গেট করে ছবি বানালে হবে না -মিশা সওদাগর

নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে টার্গেট করে ছবি বানালে হবে না -মিশা সওদাগর

বিনোদন
ঢাকাই সিনেমার শক্তিমান অভিনেতা মিশা সওদাগর। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখনও তিনি সেরা খল অভিনেতা।

নতুন কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণ করলে যে কোনো নির্মাতার ভাবনায় মিশা সওদাগর নামটা আসতে বাধ্য। কারণ তার বিকল্প যে একমাত্র তিনিই। সদ্য জনপ্রিয় এ অভিনেতার ক্যারিয়ারে আরো একটি সাফল্যের পালক যুক্ত হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো মিশা সওদাগর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন। শুরুতেই তাই জানতে চাওয়া হলো, এই অর্জনে তার অনুভূতি কেমন ? মিশা সওদাগর বলেন, আমি অনেক সাম্মানিত এবং আনন্দিতবোধ করছি। কৃতজ্ঞতা জানাই জুরি বোর্ডকে।

সর্বপোরি দেশের মানুষকে। কারণ আমি যে চরিত্রটি ‘বীর’ সিনেমায় করেছি কমিশনার থেকে মেয়রের চরিত্র সেটা সবাই পছন্দ করেছেন।

বিশেষ ভালো লাগার আরও একটি কারণ আছে। সেটি হলো কাজী হায়াতের ছবিতে একটা পুরস্কার পাওয়ার ইচ্ছা অনেকদিন ধরে ছিল। ইচ্ছেটা পূরণ হলো। এর আগে ‘বস নাম্বার ওয়ান’, ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। আর এবার ‘বীর’ -এ পাচ্ছেন। কোন পুরস্কারটাকে এগিয়ে রাখবেন? এ খলনায়ক বলেন, তিনটা ছবির মধ্যে ‘বীর’ ছবিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়াতেই সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। তাই এই পুরস্কারটাকেই এগিয়ে রাখতে চাই। কাজের কী অবস্থা এখন? মিশা বলেন, ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’, ‘আগুন’, ‘পর্দার আড়ালে’, ‘এবার তোরা মানুষ হ’ ও ‘কুস্তিগীর’ সিনেমাগুলোর কাজ করছি। এর বাইরে আরো কয়েকটি সিনেমার কাজ হাতে রয়েছে।

পাশাপাশি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘শান’, ‘মিশন এক্সট্রিম (পার্ট টু’)’, ‘বিদ্রোহী’, ‘দিন:দ্য ডে’, ‘অমানুষ’, ‘বাহাদুর’সহ কয়েকটি সিনেমা। একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি, চলচ্চিত্রের মন্দা সময় কাটছে না৷ চলমান সংকট নিয়ে কী বলবেন? মিশা সওদাগর বলেন, সংকট তো আসলে গভীর। ১৩৫০ হল থেকে এখন ৫০ টা হলেও রানিং সিনেমা রিলিজ হয় না। বর্তমানে এক নম্বর নায়ক শাকিব খান। তার হাতে এখন সিনেমা নেই। সামনে কোন সিনেমায় অভিনয় করছেন আমরা কেউ বলতে পারবো? না। পারবো না।

এখান থেকেই ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা বোঝা যায়! সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে সিনেমা পরিচালনা করা। একজন পরিচলককে সাইন্স, আর্টস, কমার্স সবই জানতে হয়। ধরেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কোনো সিনেমার নায়ক। যদি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে ধারনা না থাকে তাহলে তো ডিরেকশন দিতে পারবে না। প্রচুর গবেষণা করতে হয়ে পরিচালককে। পাঁচটা গান, পাঁচটা ফাইট দিয়ে ছবি বানানোর যুগ শেষ। নতুন কিছু দিতে হবে। নতুন কিছুটা কী আসলে? কী করা উচিত? মিশার উত্তর- নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে টার্গেট করে ছবি বানালে হবে না। একটা শহরের মেয়র থেকে মেথর পর্যন্ত পছন্দ করবে এমন গল্পের ছবির বানাতে হবে। তাহলে দর্শক হলে আসবে এবং ছবি সুপারহিট হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *