সার্জিও রামোস, রক্ষণভাগের এক নির্ভীক সৈনিকের নাম। দলের জন্য প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হতে পিছপা হন না কখনই। আর সে কারণেই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের নামের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে অসংখ্য লাল কার্ড।
প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) যোগ দিয়ে ইতিমধ্যেই রেড কার্ডের খাতাটা খুলে ফেলেছেন রামোস। বুধবার রাতে ফরাসি লিগ ওয়ানের ম্যাচে লঁরিয়ের বিপক্ষে বদলি হিসেবে নেমে এই স্প্যানিয়ার্ড দেখেন দু’টি হলুদ কার্ড। আর অন্তিম মুহূর্তে মাউরো ইকার্দির গোলে হার এড়ায় শুরুতেই পিছিয়ে পড়া পিএসজি।
ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে টমাস মঁকদুইতের গোলে এেিগয় যায় লঁরিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পিএসজির নিশ্চিত হার এড়ায় ইকার্দির গোল। বল পজেশনে বিস্তর ফারাক থাকলেও আক্রমণে পিএসজির সঙ্গে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে লঁরিয়ে। গোটা ম্যাচে মাত্র ২২ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে ১৭টি শট নেয় স্বাগতিকরা। যার লক্ষ্যে ছিল ৫টি। অপরদিকে ৭৮ শতাংশ বল দখলে রাখা পিএসজিও শট নেয় ১৭টি, লক্ষ্যে ছিল ৪টি।
চোটের কারণে আগে থেকে নেই নেইমার। নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পেও। তিন আর্জেন্টাইন লিওনেল মেসি, ইকার্দি ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে নিয়ে আক্রমণভাগ সাজান কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় পিএসজি। তবে নুনো মেন্দেজের নিচু ক্রসে ডি-বক্সে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইকার্দি। ষোড়শ মিনিটে স্বাগতিক ফরোয়ার্ড তেরেম মফির শট ফিরিয়ে জাল অক্ষত রাখেন কেইলর নাভাস।
২৬তম মিনিটে দুর্ভাগ্যবশত ব্যর্থ হন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার শট পোস্টে বাধা পায়। ৩২তম মিনিটে ডি মারিয়ার ভলি লক্ষ্যে থাকেনি। ৪০তম মিনিটে উল্টো গোল খেয়ে বসে সফরকারীরা। সতীর্থের পাসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন ফরাসি মিডফিল্ডার টমাস মঁকদুইত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মেন্দেজের জায়গায় রামোসকে মাঠে নামান পচেত্তিনো। ৫৬তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পান ডি মারিয়া। ডি-বক্সে মেসির পাস ফাঁকায় পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মারেন তিনি। ৮৬তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রামোস। মফিকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
ম্যাচের ফল যখন প্রায় নিশ্চিত তখনই মোড় ঘুরিয়ে দেন ইকার্দি। যোগ করা সময়ে সমতাসূচক গোলটি করে নিশ্চিত হার এড়ান আর্জেন্টাইন তারকা। ডানদিকের বাইলাইনের কাছ থেকে আশরাফ হাকিমির ক্রসে হেডে বল জালে পাঠান তিনি।
১৯ ম্যাচে ১৪ জয় ও চার ড্রয়ে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি। সমান ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে নিস দুইয়ে, অলিম্পিক মার্শেই। ১৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে আছে লঁরিয়ে ।