করোনা প্রতিরোধে সম্মুখ সারি ও ষাটোর্ধ্বদের মধ্য দিয়ে আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে বুস্টার ডোজ প্রদান। তবে আপাতত সীমিত পরিসরে এটি চালু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।
মঈনুল আহসান বলেন, ‘শুরুতে আমরা প্রথম ডোজ নিয়ে চিন্তা করেছিলাম। এখন আমাদের টিকার সংগ্রহ অত্যন্ত ভালো পর্যায়ে। এজন্য সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সীমিত আকারে বুস্টার ডোজ শুরু করা হবে। পরে বড় পরিসরে দেওয়া হবে। শুরুতে স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্কদের মধ্যে যাঁদের একাধিক রোগ আছে তাঁদেরই দেওয়া হবে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে যেভাবে বলা হবে, সেভাবেই দেওয়া হবে।’
রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। যাঁদের দুই ডোজ নেওয়ার ৯ মাস থেকে এক বছর হয়েছে, তাঁরাই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন বলে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
একই দিন নিজের নির্বাচনী এলকা মানিকগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যাঁরা ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে আছেন, গুরুতর অসুস্থ, তাঁদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। সারা দেশে একযোগে আগামী রোববার বা সোমবার শুরু হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হলেও কোনো কোনো দেশে আরও একটি ডোজ দেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় ডোজটিকে বলা হয় বুস্টার। করোনা-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজের সুপারিশ করেন প্রথমে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুস্টার ডোজ দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শীতের মধ্যে আর কোনো ঢেউ যাতে না আসে, এ বিষয়ে এখনই সতর্ক হওয়ারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর বয়স্কদের বুস্টার দিতে সরকারের তরফে নেওয়া সিদ্ধান্তে সম্মতি জানায় করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনারদের (সম্মুখ সারির) মধ্যে যাঁদের দুই ডোজ টিকা নেওয়ার সময় অন্তত ছয় মাস হয়েছে, আপাতত তাঁদেরই বুস্টার ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করে কমিটি।