বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দুবাইয়ে গেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। সেখানকার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আজ শনিবার উপস্থাপনা করবেন তিনি। আর এতে পূর্ণিমার সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন বন্ধু ও সহকর্মী ফেরদৌসকে।
দেশের বাইরে এই জুটি এবারই প্রথম উপস্থাপনা করতে যাচ্ছেন। দুবাইয়ে উড়াল দেয়ার আগে কথা হয় এই নায়িকার। বিদেশের মাটিতে এমন একটা অনুষ্ঠান। নিশ্চয়ই আলাদা উচ্ছ্বাস কাজ করছে? পূর্ণিমা বলেন, হ্যাঁ। অনেক ভালোলাগা কাজ করছে।
বিদেশের মাটিতে নিজ দেশ নিয়ে অনুষ্ঠান। আর তাতে অংশ নিতে পারাটা সৌভাগ্যেরই বটে।
শো শেষে দুবাইয়ে অন্য কোনো পরিকল্পনা আছে? এ নায়িকা বলেন, না। শো শেষে সোজা বাংলাদেশে চলে আসবো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে নির্মিত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা নিবেদিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর।
এ চলচ্চিত্রে আপনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা রেণুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? পূর্ণিমা বলেন, ‘চিরঞ্জীব মুজিব’র শুটিংটা করেছিলাম মানিকগঞ্জে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বঙ্গমাতার একটা ছবি সামনে রেখে তার আদলে আমার মেকআপটা করা হয়।
উনি (বেগম ফজিলাতুন্নেছা রেণু) কীভাবে কথা বলতেন, চলাফেরা করতেন সেটা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনে এবং জেনে অভিনয় করি। খুবই সতর্কতার সাথে এই সিনেমায় অভিনয় করতে হয়েছে। সেই সময়ের দৃশ্য গুলো ফুটিয়ে তুলতে পারছি কিনা সেটা খেয়াল রাখতে হয়েছে। আমার অংশের কাজটা করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। তিন-চার দিনের মধ্যেই শেষ হয়। বলতে গেলে চরিত্রটা অতিথি চরিত্রের মত ছিলো।
পুরো গল্পটাই বঙ্গবন্ধুর উপরে। বঙ্গমাতার মতো ঐতিহাসিক একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এটা তো বড় প্রাপ্তিও বটে? উত্তরে পূর্ণিমা বলেন, বঙ্গমাতার চরিত্রে অভিনয় করতে পারাটা ক্যারিয়ারের বড় পাওয়া বলে মনে করি। আপনার হাতে থাকা সিনেমার কী অবস্থা? এ নায়িকা বলেন, ‘গাঙচিল’র শুটিং শেষ। ডাবিং বাকি। ডাবিংয়ের কাজটা শিগগিরই হওয়ার কথা আছে। ডাবিং হলেই পুরো ছবির কাজ সম্পন্ন হবে। আর ‘জ্যাম’র শুটিং এবং ডাবিং দুটিই বাকি।