বাংলাদেশ-পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে ইনজামাম উল হক বলেছিলেন- বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন তারকা আসছে না। তবে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ইনজামামের নজর কাড়লেন বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটার লিটন কুমার দাস। চট্টগ্রাম টেস্টে লিটন-মুশফিক জুটির ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
চট্টগ্রামে শুক্রবার দলের রান পঞ্চাশ না ছুঁতেই চার উইকেট খোয়ায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইনিংস তখন অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায়। বিপর্যয়ে পড়া দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহীম। পঞ্চম উইকেটে তারা গড়েন ২০৬ রানের জুটি। আর দুজনের মাস্টারক্লাস ব্যাটিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ইনজামাম-উল-হক। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইনজামাম বলেন, ‘মুশফিক-লিটনের ব্যাটিং দারুণ লেগেছে।
আমি বলেছিলাম, যে দলই বাংলাদেশে আগে ব্যাটিং করবে, উইকেট ভেজা (শিশিরের কারণে) থাকলে রান করা কঠিন হবে। আজ (শুক্রবার) হয়েছেও তাই, ৬০ রানের (৪৯ রানে) মধ্যে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল (বাংলাদেশের)। তবে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহীমকে কৃতিত্ব দিতে হবে। দারুণ খেলেছে তারা। আমি বলতে চাই, কৃতিত্ব বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দিতেই হবে। চার উইকেট পড়ার পর তারা ভালো ব্যাটিং করেছে।
বিশেষ করে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে।’ আর পাকিস্তানের অনভিজ্ঞ স্পিন বিভাগের পারফরম্যান্সে খুশি নন ইনজামাম। অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহকে এবার স্কোয়াডেই রাখেনি পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম টেস্টে উইকেটশূন্য থাকার পর দ্বিতীয় টেস্টে তাকে বাদ দিয়ে তারা নেয় নুমান আলীকে। ইনজামাম মনে করছেন, ইয়াসিরের অভাব বেশ ভালোভাবেই উপলব্ধি করছে দল।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমি মনে করি, পাকিস্তান ইয়াসির শাহের ঘাটতি অনুভব করেছে। জানি না সে কেন খেলছে না। তবে তার অভিজ্ঞতা খুবই কাজে দিতো, বিশেষ করে নতুন বলে পেসাররা উইকেট এনে দেয়ার পর। আমার মনে হয়, দলে থাকা স্পিনার নুমান ও সাজিদ এতটা অভিজ্ঞ নয়। আমার মতে, পাকিস্তান শাদাব খানকেও দলে বিবেচনা করতে পারতো।’ চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে পতন হওয়া ১০ উইকেটের ৯টিই পেসারদের। বাকি ১ উইকেট নেন পাক অফস্পিনার সাজিদ খান।