অর্থ পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায় পিছিয়ে ২১ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন রায় ঘোষণার এই নতুন তারিখ ঠিক করেন।
আজ আলোচিত এই মামলার রায় দেওয়ার কথা ছিল। এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় যুক্তিতর্কের শুনানি নিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই দিন ধার্য করা হয়েছিল।
মামলায় এসকে সিনহার ছাড়া অপর অভিযুক্তরা হলেন- এ কে এম শামীম, গাজী সালাহউদ্দিন, স্বপন কুমার রায়, মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মোহাম্মদ শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সাফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, রণজিৎ চন্দ্র সাহা, সান্ত্রী রায় ও মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতি।
এ মামলায় ২১ সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। মামলার বিচার কার্যক্রমের শুরু থেকে এসকে সিনহাকে পলাতক দেখিয়ে শুনানি হয়। বিচারকদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েনের জেরে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর বিদেশে বসে পদত্যাগ করেন এসকে সিনহা। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
ফার্মার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে দুই ব্যবসায়ী শাহজাহান ও নিরঞ্জনের নামে ভুয়া নথি ব্যবহার করে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে ২০১৮ সালের অক্টোবরে জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা।
তারা আরও জানান, পরে আত্মসাৎকৃত অর্থ বিচারপতি এসকে সিনহার ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়া হয়।
অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এসকে সিনহা ও অপর ১০ জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক।