তালেবানকে নিষিদ্ধের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটররা

তালেবানকে নিষিদ্ধের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটররা

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানের তালেবানকে নিষিদ্ধ করতে পার্লামেন্টে বিল উত্থাপন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটররা। ওই সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি তাদের সমর্থনকারী বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর ওপরও বিধিনিষেধ জারি করতে বলেন ২০-এর বেশি সিনেটর।

স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার ‘আফগানিস্তানে সন্ত্রাস দমন, তদারকি এবং জবাবদিহিতা’ নামের বিলটি উত্থাপন করা হয়।

এরই মধ্যে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবানের ছত্রছায়ায় আল কায়দা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এ জন্য বিমান হামলার মাধ্যমে তাদের পুনরুত্থান ঠেকানোর পরিকল্পনা করছে পেন্টাগন। বুধবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এ তথ্য জানান। খবর রয়টার্স, এএফপি ও হিন্দুস্তান টাইমসের।

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর কলিন্স বলেন, আমাদের আইন প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, এসআইভি ও শরণার্থীদের আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে এটি তালেবান এবং তার সমর্থকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

তালেবানের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি সুস্পষ্ট বার্তা পাঠাচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে আল কায়দাকে ঠেকাতে দূরদিগন্ত থেকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা কৌশলের কার্যকারিতা নিয়ে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতা ও বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ রয়েছে। তা সত্ত্বেও এই কৌশল ব্যবহার করে আফগানিস্তানে তাদের রুখতে চায় পেন্টাগন।

দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের আর্মড সার্ভিসেস কমিটিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, দূরদিগন্ত থেকে অভিযান চালানো কঠিন বটে; কিন্তু তা করাটা খুবই সম্ভব।

১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলের পর থেকে দেশটিতে খাদ্য সংকট প্রকট হচ্ছে। গৃহহীনের সংখ্যা বহুগুণে বাড়ছে। দেশটিতে নতুন করে গৃহহীন হয়ে পড়ার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ নারী এবং শিশু।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার-ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্যটি এমন সময় প্রকাশ্যে এলো, যখন আফগানিস্তানে মানবিক সংকট মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর কাছে সহায়তা চাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে চীনের ৩১ মিলিয়ন ডলারের জরুরি মানবিক সহায়তার প্রথম ব্যাচ কাবুলে পৌঁছেছে। পরে তা তালেবান কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে রপ্তানিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আফগান ব্যবসায়ীদের। মূলত তারা ক্রসিং পয়েন্টে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। টোলো নিউজ জানিয়েছে, প্রতিদিন অন্তত ১২০টি পাকিস্তানি ট্রাক সীমান্ত অতিক্রম করে আফগানিস্তানে ঢোকে। বিপরীতে মাত্র ২০টি আফগান ট্রাক পাকিস্তানে ঢুকতে পারে।

এ প্রেক্ষাপটে গতকাল ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামের অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দ্রুত পালটে যাচ্ছে। সার্বিক বিষয়ের ওপর নজর রাখছে দিল্লি। তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে তাড়াহুড়ো করবে না ভারত। ওই গোষ্ঠীর কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *