কাবুলে ‘শত শত কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম’ ধ্বংস

কাবুলে ‘শত শত কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম’ ধ্বংস

আন্তর্জাতিক
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র একটি ঘাঁটি সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে ক্ষমতাসীন তালেবান। সোমবার এ ঘাঁটি উন্মুক্ত করে তালেবান দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ওই ঘাঁটিতে থাকা সব সামরিক যন্ত্রপাতি, যান ও নথি নষ্ট করেছে, অথবা পুড়িয়ে দিয়েছে।

মঙ্গলবার আফগানিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদক আব্দুলহক ওমেরি।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর ওই ঘাঁটি বা কেন্দ্রটি ‘ঈগল’ নামে পরিচিত, যা কাবুলের দেহ সাব এলাকায় অবস্থিত। ধারণা করা হয়, এখানে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অবস্থান করতেন; তাদের সঙ্গে বসতেন আফগান বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারাও। বর্তমানে এ ঘাঁটি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তালেবানরা বলছে, মার্কিন সেনারা গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি ধ্বংস করে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে তারা কয়েকশ’ সাজোয়া যান, সশস্ত্র ট্যাঙ্ক ও অস্ত্র ধ্বংস করেছেন। তালেবান জানিয়েছে, তারা এসব জিনিসের প্রকৃত মূল্য জানেন না; তবে এসব জিনিসের আনুমানিক মূল্য শত শত কোটি ডলার হতে পারে।

বর্তমানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই ক্যাম্পের কমান্ডার মাওলাওয়ি আথনাইন বলেন, ‘কাজে লাগতে পারে – এমন সব কিছুই তারা ধ্বংস করে গেছে।’

মাসাব নামের এক তালেবান যোদ্ধা ওই ঘাঁটি পাহারা দিচ্ছেন। তিনি জানান, এক সময় ওই ঘাঁটিতে তিনি আটদিন বন্দী ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং এখানে আট রাত রাখা হয়েছিল। এটা ছিল ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা।’

একজন ফ্রি ল্যান্স প্রতিবেদক আনাস বারাকজাই বলেন, ‘তারা পালিয়ে যাচ্ছে এবং যাওয়ার সময় সব ধ্বংস করে রেখে গেছে। তাদের এটা করা ঠিক হয়নি।’ তালেবান বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, এ ঘাঁটির অনেক কক্ষে তারা প্রবেশ করেননি; তাদের আশঙ্কা সেখানে মাইন পোতা থাকতে পারে।

এর আগে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, কাবুল বিমানবন্দর ছাড়ার আগে তারা সামরিক হার্ডওয়্যার ও হেলিকপ্টার অকেঁজো করে রেখে গিয়েছিলেন। অনেক বিমান অকেঁজো করার কথা জানিয়েছিলেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *