প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশব্যাপী গণটিকাদান কার্যক্রম আজ শনিবার শুরু হয়েছে। কর্মসূচি আগেই ঘোষণা করা হলেও এরই মধ্যে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথমে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঘোষণা করা হলেও তা দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি কমিয়ে ৩২ লাখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ছয় দিনব্যাপী এ কার্যক্রমে ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সী সবাইকে টিকাদানের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন লক্ষ্যমাত্রা ২৫ বছর ও তার বেশি বয়সীরা টিকা পাবেন। গণটিকাদান কার্যক্রম চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে একযোগে টিকা দেয়া হচ্ছে। এতে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকর্মী ও ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার সম্প্রসারিত আকারে শনিবার দেশব্যাপী ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৭ আগস্ট ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে আমরা টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, শনিবার দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হবে। ৮ ও ৯ আগস্ট ইউনিয়ন ও পৌরসভার বাদ পড়া ওয়ার্ডে এবং ৭ থেকে ৯ আগস্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকাদান কর্মসূচি চলবে। দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৮ ও ৯ আগস্ট ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম চালু থাকবে। ১০ থেকে ১২ আগস্ট জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর ৫৫ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।