দক্ষিণ চীন সাগরের কূটনীতি কার্যত এবার নতুন রূপ নিতে শুরু করে দিল দক্ষিণ এশিয়ার বুকে। ভারত চীন লাদাখ সংঘাতের আবহে এই কূটনীতি ইতিমধ্যেই অন্যস্তরে উন্নীত হয়েছে। তারই মাঝে দুই শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকা বনাম চীনের সংঘাত এই কূটনীতিকে নতুন রঙ দিয়েছে।
এদিকে, করোনা আবহে চিনের আগ্রসনের বিরোধিতায় সরব হয়ে ভারতের সঙ্গে একাধিক দেশ গর্জে উঠেছিল। এবার সেই প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার বুকে দক্ষিণ চীন সাগরে ৪ যুদ্ধজাহাজ নিয়ে টাস্ক ফোর্স পাঠাচ্ছে ভারত।
মূলত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, আমেরিকার মতো কোয়াড ভূক্ত দেশগুলির সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগরে নৌমহড়ায় নামছে ভারত। এই সাগরে চীনের দাপটের মাঝেই ভারতের এই পদক্ষেপে যে বেশ কড়া নজর রাখবে বেজিং, তা বলাই বাহুল্য। এদিকে, এই টাস্ক ফোর্সের মধ্যে থাকছে গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট, অ্যান্টি সাবমেরিন কভারেট সহ একাধিক অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র। এই নৌ মহড়া আগামী ২ মাসের জন্য দক্ষিণ চীন সাগরে হবে।
এর আগে ২০২১ মালাবার এক্সারসাইজে আমেরিকার সঙ্গে ভারত এখানে নৌ মহড়ায় নামে। এই নৌ মহড়া ছাড়াও ভিয়েৎনাম, ইন্দোনশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপিন্সের মতো দেশের সঙ্গে আলাদা একটি নৌ মহড়ায় নামতে চলেছে ভারত। প্রসঙ্গত, বোঝাই যাচ্ছে যে দক্ষিণ চীন সাগরের মতো কূটনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভারতের নৌসেনার এই গতিবিধি রীতিমতো প্রাসঙ্গিকতা পেতে শুরু করেছে।
সাগরের বুকে বাণিজ্যের অবাধ ভাবনাকে জাগ্রত করতেই কোয়াডভূক্ত দেশগুলি শেষ বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সময় জাপানের মতো চীনের প্রতিবেশী রাষ্ট্রও ভারতের বার্তায় সায় দেয়। উল্লেখ্য, উল্লেখ্য দক্ষিণ চিন সাগরের বেশকিছু দ্বীপ নিয়ে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েৎনামের সঙ্গে সংঘাত রয়েছে চীনের। সীমান্ত বিবাদ নিয়ে জাপানের সঙ্গে বিভেদ রয়েছে চীনের মতের।
সেই জায়গা থেকে দক্ষিণ চীন সাগরে অবাধ বিতরণ ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়া সহ একাধিক দেশ এক মত হয় কয়েক মাস আগে। তারপরই দেখা যাচ্ছে। এই সাগরে ভারতের ‘বন্ধু’ দেশগুলির সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ মহড়ায় নামছে ভারতীয় সেনা।
মূলত, গোটা দক্ষিণ চীন সাগরকেই নিজের দেশের সার্বভৌম এলাকার আওতায় রাখার পথে বারবার এগিয়েছে বেজিং। চীনের এমন দাবিকে নস্যাৎ করতেও ছাড়েনি ভারত সহ আমেরিকার মতো বিশ্বের নানান দেশ। দক্ষিণ চীন সাগরে গত কয়েক সপ্তাহে নৌসেনার মহড়া কার্যত এই সাগরকে কার্যত ‘হট বেড’ করে দিয়েছে।
১.৩ মিলিয়নব স্কোয়ার কিলোমিটারের এই সাগরে আমেরিকার সার্ফেস অ্যাকশন গ্রুপ ও লালফৌজ কিছু মহড়ৃা প্রদর্শন করেছে। এরপর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে আসে এই দক্ষিণ চীন সাগর।