অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হলো বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি বিল গেটস ও মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চের বিবাহবিচ্ছেদ। স্থানীয় সময় সোমবার বিকালে যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিচারক তাদের এই বিচ্ছেদকে অনুমোদন দেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
এর আগে গেল মে মাসের ৩ তারিখ নিজেদের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন বিল-মেলিন্ডা গেটস। সে সময় এক সঙ্গে তারা দুইজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গুরুত্বপূর্ণ ওই ঘোষণার দীর্ঘ তিন মাস পর তাদের বিচ্ছেদ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হলো। অবশ্য আদালতের নথি বলছে, বিচ্ছেদের পরও নিজের নাম পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটসের।
গত আশির দশকের শেষের দিকে বিল গেটসের মাইক্রোসফট কোম্পানিতে যোগ দেন মেলিন্ডা। এরপরই দু’জনের পরিচয় হয়। পরবর্তীকালে ১৯৯৪ সালে তারা বিয়ে করেন। দীর্ঘ ২৭ বছরের বৈবাহিক জীবনে তাদের সংসারে জন্ম হয় তিন সন্তানের।
বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়ার সময় গত মে মাসে টু্ইটার বার্তায় বিল ও মেলিন্ডা গেটস বলেছিলেন, গত ২৭ বছরে আমরা অসাধারণ তিনটি সন্তান পেয়েছি। এমন একটা ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছি, যা বিশ্বজুড়ে মানুষকে স্বাস্থ্যকর ও সক্ষম করে গড়ে তুলতে কাজ করছে।
তারা আরও বলেছিলেন, আমরা যে বিশ্বাস থেকে ওই ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু করেছি, সেটা থাকবে। আমরা এই ফাউন্ডেশনের কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যাবো। কিন্তু আমরা আর এটা বিশ্বাস করতে পারছি না যে, আমাদের জীবনের পরের ধাপে দম্পতি হিসেবে আমরা আর একসঙ্গে থাকতে পারব।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স’র বরাত দিয়ে সিএনএন বলছে, সোমবার পর্যন্ত বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মানে, ডিভোর্সের পর এবার বিল গেটস ও মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস উভয়ে ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করে পাবেন।
সাবেক এই দম্পতি ২০০০ সালে গঠন করেন দাতব্য সংস্থা ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’। বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও তারা এই সংস্থার মাধ্যমে একসঙ্গে মানবকল্যাণমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবকল্যাণে কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই ও শিশুদের টিকাদানে উৎসাহিত করতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
