বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের হার দেশে কিছুটা কমে এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। বিগত দেড় বছর ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়ে তা পুষিয়ে নিতে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
আজ বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাইনা বলে দীর্ঘ দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখেছি। এ জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে টেলিভিশনে ক্লাস সম্প্রচার, অনলাইনে ক্লাস ও অ্যাসাইনমেন্ট কাজ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করা হচ্ছে। বিকল্প কার্যক্রমে যারা যুক্ত হতে পারেনি তাদের নিয়েও ভাবা হচ্ছে। এ জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত দেড় বছরের মধ্যে যাদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু হতে পারেনি, তাদের জন্যও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। কিভাবে এ ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, আইসিটি ও ধর্ম আবশ্যিক বিষয়ের মূল্যায়ণ পেছনের দেওয়া জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর মূল্যায়ণ করা হবে। ঐচ্ছিক বিষয়ের উপর তৈরি করা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের উপর আগামী ১৮ জুলাই থেকে পরবর্তী ১২ সপ্তাহে ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে দুটি করে অ্যাসাইনমেন্ট করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে।
অন্যদিকে এইচএসসি’র জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের উপর ২৫ জুলাই থেকে ১৫ সপ্তাহে ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে। তাদেরও প্রতি সপ্তাহে দুটি করে পাঁচটি পত্রের উপ ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট করে কলেজে জমা দিবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঐচ্ছিক বিষয়গুলোর সংক্ষিপ্ত আকারে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে।
তিনি বলেন, যেহেতু শিক্ষার্থীরা আবশ্যিক বিষয় আগের স্তরে পড়ে এসেছেন। ঐচ্ছিক বিষয়গুলো তাদের পরবর্তী ক্লাসে প্রয়োজন হবে। এজন্য পরীক্ষার্থীদের শিখন জ্ঞান অর্জন করছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ জন্য সকল শিক্ষার্থীকে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।