করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশে বিস্তৃত পরিসরে সিনোফার্ম ও মডার্নার টিকাদান শুরু হয়েছে। আজ সোমবার থেকে সারা দেশে দেওয়া হচ্ছে চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকা। কাল মঙ্গলবার থেকে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হবে মডার্নার টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক শামসুল হক রবিবার জানান, এখন ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে প্রবাসীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসীরা আগামীকাল থেকে ঢাকা ছাড়াও দেশের বাকি সিটি করপোরেশন থেকে মডার্নার টিকা নিতে পারবেন। ঢাকায় আসতে হবে না। পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকরাও মডার্নার টিকা নিতে পারবেন।
দুই মাস বন্ধ থাকার পর দ্বিতীয় দফায় ৭ জুলাই টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। এ দফায় রবিবার পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৯ লাখ ৫৫ হাজার। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৯০ লাখ ৫৩ হাজার ৩৮৪ জন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে দেশে গণটিকাদান শুরু হয়। কিন্তু টিকার সংকট দেখা দিলে গত ২৫ এপ্রিল সেই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। সে সময় টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছিল।
সম্প্রতি সিনোফার্ম ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা আসার পর আবারও গণটিকাদান শুরুর ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত চার দফায় দেশে সিনোফার্মের ৩১ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। এর মধ্যে গত ১২ মে প্রথম দফায় ৫ লাখ ও ১৩ জুন দ্বিতীয় দফায় উপহারের ৬ লাখ ডোজ মিলে চীন থেকে ১১ লাখ সিনোফার্মের টিকা আসে। এরপর ২ ও ৩ জুলাই চুক্তি অনুযায়ী আরও ২০ লাখ সিনোফার্মের টিকা আসে।
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাঠানো মডার্নার ২৫ লাখ টিকা আসে। এর আগে গত ১ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গঠিত টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা পায় বাংলাদেশ।
দেশে এখন পর্যন্ত তিন ধরনের টিকা দেওয়া হচ্ছে। মডার্নার টিকাদান শুরু হলে এ সংখ্যা চারে দাঁড়াবে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছে। এর মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৪ জনকে এ টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৩৩ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ ৯৫ হাজার ২১৮ জন।