ইংল্যান্ড-ইতালি মহারণ: থ্রি লায়ন্সদের প্রেরণা হোম

ইংল্যান্ড-ইতালি মহারণ: থ্রি লায়ন্সদের প্রেরণা হোম

খেলাধুলা
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া ইংল্যান্ডের জন্য বড় প্রেরণা ঘরের মাঠ, বিশেষ করে ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম। এই মাঠের সঙ্গে অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে ইংলিশদের। তাদের একমাত্র বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের সঙ্গেও যে জড়িয়ে আছে ওয়েম্বলি। এই ওয়েম্বলিতেই ১৯৬৬-এর বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখায় দলটি। এরপর আর কোনো বড় আসরেই ফাইনালে উঠতে পারেনি ইংলিশরা। এমনই অবস্থায় আজ ওয়েম্বলিতেই শিরোপার লড়াইয়ে ইতালির মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডের রেকর্ডও দুর্দান্ত। এই মাঠে ১৭ ম্যাচ খেলে ১৫টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। ড্র ও হার একটি করে। ওয়েম্বলিতে স্বাগতিকদের ঈর্ষণীয় রেকর্ডের পাশাপাশি, বিপুলসংখ্যক দর্শকদের বিপক্ষেও লড়তে হবে ইতালিকে। শিরোপার স্বাদ পেতে হলে হোম চ্যালেঞ্জে জিততে হবে এটা খুব ভালোভাবেই জানা আছে ইতালির। দলটির তারকা ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চি বলেছেন, ওয়েম্বলিতে খেলাটা চ্যালেঞ্জের। তবে আমরা এতে ভীত নই।
ফাইনাল ম্যাচটিকে সামনে রেখে দুদলকে একই সমান্তরালে রেখেছেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড হ্যারি কেন। বলেছেন, ম্যাচটি সত্যিকারের অর্থেই কঠিন। আমি বলব দুদলের জন্যই সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি। আমাদের দিক থেকে বলব, আমরা ফাইনাল নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আমাদের দলের প্রায় সবারই ক্লাব ফুটবলে বড় বড় টুর্নামেন্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আর তাই ফাইনালে জিততে পারি, এ বিশ্বাস আমাদের আছে।’ যোগ করেন, আবারও বলি, কাজটা ভীষণ কঠিন। কেননা অসাধারণ কিছু প্লেয়ার আছে ওদের দলে।’
ওয়েম্বলিতে ৬০ হাজার দর্শকের সামনে ট্রফি উঁচিয়ে ধরার সুযোগটাকে হাতছাড়া করতে নারাজ স্বাগতিক শিবির। কেনের ভাাষায়, খেলোয়াড় হিসেবে ওয়েম্বলিতে শিরোপা জেতাটা স্বপ্নের মতো একটা ব্যাপার। এমন একটি মুহূর্তের জন্যই সবাই অপেক্ষা করে আছে। আবেগঘন কণ্ঠে কেন বলেন, দেশের হয়ে ট্রফি উঁচিয়ে ধরব, এমন স্বপ্ন ছেলেবেলা থেকেই দেখে আসছি। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য খুব বড় একটা সুযোগ।’
ইংল্যান্ড সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছে ৫৫ বছর আগে। ওয়েম্বলিতে ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়কে প্রেরণা হিসেবে দেখছেন কেন। বলেছেন, যখন ১৯৬৬-এর কথা ওঠে তখন সেটা আমাদের প্রেরণা দেয়, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। দেশের হয়ে দ্বিতীয় কোনো বড় শিরোপা জেতাটাকে বিস্ময়কর একটা ব্যাপার হবে বলেও উল্লেখ করেছেন কেন, দেশের হয়ে দ্বিতীয় ট্রফি জেতাটা হবে বিস্ময়কর একটা ব্যাপার। এর জন্য আমাদের দেশের মানুষ দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় আছে। আর তাই ফাইনাল নিয়ে আমরা ভীষণভাবে উদ্দীপ্ত। ঘরের মাটির সুবিধা কাজে লাগিয়ে বড় আসরের দল ইতালিকে পেছনে ফেলার চ্যালেঞ্জ ইংলিশরা জিততে পারে কি না তারই অগ্নিপরীক্ষা আজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *