এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট

এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট

আন্তর্জাতিক
শুধু ভারত নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই এখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। করোনার এই ধরনটি প্রথম ভারতে শনাক্ত হওয়ায় এটি ভারতীয় ধরন হিসেবেও পরিচিত। তবে গত কয়েকদিনে ভারতে সংক্রমণ কিছুটা কমতে শুরু করলেও এশিয়ার অন্যান্য দেশে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণের গতি বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

এশিয়ার অল্প কয়েকটি দেশ ছাড়া বেশিরভাগ দেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম খুবই ধীর গতিতে চলছে। সে কারণে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে আগামী কয়েক মাসে পুরো বিশ্বেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাসের এই অতি সংক্রামক ধরন। ইতোমধ্যে প্রায় ১০০টি দেশে এই ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৯৬টি দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিললেও প্রকৃত সংখ্যা ১শ’র উপরে হওয়ার কথা। কারণ ভাইরাসের ধরন চিহ্নিতকরণের জন্য যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন, তা অনেক দেশেই নেই। ফলে আসল সংখ্যা সামনে আসছে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস বলেন, ডেল্টাই এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট। যেসব জায়গায় টিকা দেয়ার হার কম, সেখানে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার এই অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট।

ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা গত মে মাস থেকেই সংক্রমণের ঊধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। নেপালে খুব ভালোভাবেই তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনার এই ধরনটি। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় স্থানীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাপের মুখে রয়েছে।

চলতি মাসে আফগানিস্তানে সবচেয়ে বেশি সংক্রমন ঘটেছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়াজিদ মাজরুহ জানিয়েছেন, রাজধানী কাবুলে ৬০ শতাংশ সংক্রমণ ঘটেছে। এর পেছনে তিনি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকেই দায়ী করেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং মঙ্গোলিয়াতেও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ভারতের সঙ্গে বেশ কয়েকটি এলাকায় সীমান্ত থাকায় মে মাসের মাঝামাঝি থেকেই বাংলাদেশে সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে।

গত ২৫ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত সরকারি হিসাব অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় শনাক্ত হওয়া কেসের ৬৮ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। সংক্রমণের গতি রোধ করতে তাই দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *