ভারতীয় টেনিসের সেরা মুখ সানিয়া মির্জা বিরল রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন

ভারতীয় টেনিসের সেরা মুখ সানিয়া মির্জা বিরল রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন

খেলাধুলা
বিরল রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন ভারতীয় টেনিসের অন্যতম সেরা মুখ সানিয়া মির্জা। ভারতীয় মহিলা হিসেবে প্রথম বার কোনও খেলোয়াড় চতুর্থ বার অলিম্পিক্স খেলতে চলেছেন। ২৩ জুলাই থেকে শুরু হতে চলা টোকিয়ো অলিম্পিক্সে নামলেই এক মাত্র ভারতীয় মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করবেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে ৬টি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী সানিয়া বলেন, “দুর্দান্ত কেরিয়ার আমার। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আমার ৩০ বছর বয়স পেড়িয়ে গিয়েছে, তার পরেও আমি এখানে। তবে আরও কত দিন খেলব সেই নিয়ে ভাবিনি। আমি প্রতিটা দিন ধরে এগিয়ে চলি। ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব একটা ভাবি না।” ২০১৮ সালে ছেলে ইজহানের জন্মের পর ফের কোর্টে ফেরেন সানিয়া। গত বছর জানুয়ারি মাসে হোবার্টে সোনা জিতেছিলেন তিনি। এ বার উইম্বলডন এবং অলিম্পিক্সের মতো বড় প্রতিযোগিতাতেও খেলতে দেখা যাবে সানিয়াকে। তিনি বলেন, “কোর্টের ভিতর যেমন অনুশীলন করছি, তেমনই অনুশীলন চলছে কোর্টের বাইরেও। শক্তি বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন করছি আমি।”

২০১৬ সালের রিয়ো অলিম্পিক্সে মিক্সড ডাবলসে সেমিফাইনালে ওঠেন সানিয়া। অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়। সেই দুঃখ আজও ভুলতে পারেননি তিনি। রোহন বোপান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সে বার। সানিয়া বলেন, “আমার জীবনের সব চেয়ে খারাপ দিন ছিল ওটা। পদক জয়ের অত কাছে এসেও ফিরে যেতে হয়েছিল। সারা বিশ্বে যেখানেই খেলতে যাই, ভারতকেই প্রতিনিধিত্ব করি। কিন্তু অলিম্পিক্সে খেলাটা গর্বের। সেখানে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা যে কোনও খেলোয়াড়ের স্বপ্ন। আমি জানি এ বারের টোকিয়ো অলিম্পিক্সে খেলতে নামলে আমি হব একমাত্র ভারতীয় মহিলা যে সব চেয়ে বেশি অলিম্পিক্স খেলেছে অন্য কারও সঙ্গে জুটি বেঁধে।”

অঙ্কিতা রায়নার সঙ্গে জুটি বেঁধে এ বারের অলিম্পিক্সে নামতে চলেছেন সানিয়া। ক্রমতালিকায় অঙ্কিতা রয়েছেন ৯৫ নম্বরে। প্রথম বার এমন একজন সঙ্গীকে নিয়ে সানিয়া নামতে চলেছেন যিনি ক্রমতালিকায় ১০০-র মধ্যে রয়েছেন। সানিয়া বলেন, “অঙ্কিতা প্রচণ্ড পরিশ্রমী। প্রথম বার যখন ওকে দেখেছিলাম, ওর বয়স তখন ১৪-১৫ বছর। আগে কখনও ক্রমতালিকায় প্রথম ১০০-র মধ্যে খেলোয়াড়ের সঙ্গে অলিম্পিক্সে খেলতে যাইনি।”

তবে ভারত এখনও খুঁজছে পরবর্তী সানিয়াকে। কে নিতে পারবেন তাঁর জায়গা? উত্তর এখনও অজানা।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *