দারুণ প্রত্যাবর্তনে শেষ আটে ব্রাজিল

দারুণ প্রত্যাবর্তনে শেষ আটে ব্রাজিল

খেলাধুলা
প্রথমার্ধের গোল হজম করে পিছিয়ে পড়া ব্রাজিল একের পর এক আক্রমণ করেও ম্যাচের একটা বড় সময় পর্যন্ত পিছিয়েই ছিল।  কিন্তু তারা তো পণ করেই নেমেছিল জয় নিয়েই তারা মাঠ চাহড়বে। হয়েছেও তাই, শেষের ক্লাসিকে গোল না পাওয়া নেইমারে ভর করেই ২-১ গোলের জয় তুলে নিল সেলেসাওরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ সময় ভোরে শুরু হওয়া ম্যাচে কোচ তিতে ম্যাচের আগেই বড় পরিবর্তনের আভাস দিয়েছিলেন। সে পরিবর্তন দেখাও গেল ম্যাচে। পেরুকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া একাদশ থেকে এদিন বদলে গেল পাঁচ মুখ। গোলরক্ষক এডারসনকেও বিশ্রাম দেয়া হয়। এ ম্যাচে, গোলবার সামলেছেন ওয়েভারটন। রক্ষণে ছিল একটা পরিবর্তন, মারকুইনহোস খেলেছেন এডার মিলিতাওয়ের জায়গায়।

মাঝমাঠ আর আক্রমণ মিলিয়ে পরিবর্তন এসেছে তিনটি। ফ্যাবিনহোর জায়গায় দলে আসেন ক্যাসেমিরো, সেদিনের গোলদাতা এভারটন সোয়ারেসকেও বিশ্রাম দেয়া হয়, তার জায়গায় প্রথম একাদশে খেলেন রিচার্লিসন। আরেক এভারটন, রিবেরিও অবশ্য দলে ঢুকেছেন গ্যাব্রিয়েল বারবোসা গ্যাবিগোলের জায়গায়।

পরিবর্তন আনার আগে তিতে জানিয়েও রেখেছিলেন তার দল ভালো খেলার ধারা অব্যহত রাখতে চায়। কলম্বিয়ার বিপক্ষে তারা সেটা ধরে রাখতেও পেরেছিল এদিন, তবে মিলছিল না গোলের দেখা। শুরু থেকে বেশ কিছু আক্রমণে উঠেও বিরতির আগে গোল পাননি নেইমার, গ্যাব্রিয়েল জেসুসরা। উল্টো কলম্বিয়াই গোল করে বসে ম্যাচে ১২ মিনিটে। লুইস ডিয়াজের করা বাইসাইকেল গোলটি কলম্বিয়াকে লিড এনে দেয়। এখন পর্যন্ত এটি চলতি কোপা আমেরিকার সেরা গোল হয়ে থাকল।

গোল শোধে মরিয়া ব্রাজিল ৫৫ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল। থিয়াগো সিলভার পাসে বল পাওয়া নেইমারের শট কলম্বিয়ার গোলরক্ষক রক্ষা করেন। গোটা ম্যাচে দুরন্ত নেইমারকে গোল না পাওয়ার জন্য হতভাগা বলতেই হবে। ৬৬ মিনিটে রবের্তো ফিরমিনোর বাড়ানো বল আদায় করে তার নেয়া দূরপাল্লার শট পোস্টের বারে লেগে ফিরে আসে।

৭৮ মিনিটে এসে স্বস্তির নিঃশ্বাস গেলে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। রেনান লোদির ক্রসে বল পেয়ে প্লেসিং হেডে বল জালে জড়িয়ে স্বাগতিকদের ম্যাচে ফেরান ফিরমিনো।

এই ম্যাচে কলম্বিয়ার খেলোয়াড়দের করা অতি মাত্রায় ফাউল ২০১৪ বিশ্বকাপের স্মৃতিকেই মনে করিয়ে দিয়েছে। সেবার শেষ আটে মুখোমুখি হওয়া দুই দলের ম্যাচে ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের তারা টার্গেট করে ফাউল করেই যাচ্ছিল। মারাত্মক ইনজুরিতে পড়ে সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি নেইমার। সাত বছর পরও একই কৌশলে খেলা কলম্বিয়া ম্যাচের গতি ও ছন্দকে বারবার নষ্ট করে। নির্ধারিত সময় শেষের পর রেফারি আরও ১০ মিনিট খেলা চালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

বারবার আক্রমণ করা ব্রাজিল শততম মিনিটে এসে ঝলক দেখায়। নেইমারের নেয়া কর্নার কিকে অরক্ষিত থাকা কাসেমিরো নিপুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করে জয় ছিনিয়ে এনে সাম্বার দেশকে শেষ আটের টিকেট হাতে পাইয়ে দেন।

বি গ্রুপে তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে ৯ পয়েন্ট পাওয়া ব্রাজিল টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। এক ম্যাচ বেশি খেলা কলম্বিয়া ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে। আরেক ম্যাচে ইকুয়েডরের সঙ্গে জমজমাট ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করা পেরু ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়েছে। ইকুয়েডর ২ পয়েন্ট পেয়ে চতুর্থ স্থানে ও সমান পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় ভেনেজুয়েলা টেবিলের নিচে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *