নারী পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : বিজিবি মহাপরিচালক

নারী পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : বিজিবি মহাপরিচালক

বাংলাদেশ
নারী ও শিশু পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, নারী পাচারে কারো কোনো সুপারিশ বিজিবি পাত্তা দেয় না। নারী-শিশু পাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাজধানীর গুলশানে ‘সীমান্ত ব্যাংক’ এর ১৯তম শাখা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরায় নারী পাচারের অভিযোগে একজন নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলকে ধরতে আমরা প্রতিদিনই তার বাসায় হানা দিই কিন্তু তিনি বাসায় নেই। এ বিষয়ে পুলিশকেও জানিয়েছি। পুলিশ-বিজিবি একই মন্ত্রণালয়ের কাজ করে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষাসহ সীমান্তেও আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, নারী পাচার রোধে মিডিয়ার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। নারী পাচার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যেন প্রলোভনে পড়ে নারী পাচারের শিকার না হয় সেদিকে সমাজের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মিডিয়া ও জনগণের সহযোগিতা ছাড়া বিজিবি একার পক্ষে পাচার রোধ করা সম্ভব না। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, গত এক মাসে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত, সাতক্ষীরা সীমান্ত ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে ৩০০ জনকে অবৈধ পারপারের অপরাধে ধরা হয়েছে এবং তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।
কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়াও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা আসছে। গতকাল রাতেও তিনজন রোহিঙ্গা নৌকায় করে এসেছিল। পরে তাদের আবার রাতেই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিরা এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিজিবিও কাজ করছে।
এখন বাংলাদেশের সীমান্ত চার হাজার ৪২৭ কিলোমিটার। আমাদের একটি বিওপি থেকে আরেকটি বিওপির দূরত্ব পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার। বিওপিতে টহল দল থাকে তারপরও শতভাগ সম্ভব হয়ে ওঠে না। সীমান্ত ব্যাংকের শাখা উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে ব্যাংকিং সেবা সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হবে। বিজিবির সদস্যরা সহজশর্তে লোন পেয়ে থাকেন। সদস্যদের সন্তানরা পড়াশোনা শেষে ব্যাংকে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও সীমান্ত ব্যাংক ইতোমধ্যে ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, রেমিটেন্স সর্বসেবাসহ বিভিন্ন আধুনিক সেবা চালু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *