আশঙ্কা যা ছিল। সেটাই এবার সত্যি হলো। টোকিও অলিম্পিকে যোগ দিতে আসা খেলোয়াড়ের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আক্রান্ত উগান্ডার অ্যাথলেটিক টিমের ওই খেলোয়াড়কে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
আগামী ২৩ জুলাই জাপানে শুরু হচ্ছে অলিম্পিক গেমস। গত বছরই জাপানে অলিম্পিক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার জন্য তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। এ বছরও অলিম্পিক করা উচিত হবে কি না, তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। জাপানের সব চেয়ে বড় ভাইরোলজিস্ট মাসখানেক আগে বলেছিলেন, গোটা বিশ্বে করোনার যে পরিস্থিতি, তাতে এখনই অলিম্পিকের আয়োজন উচিত হবে না। খবর ডয়েচে ভেলের।
কারণ, এর ফলে একদিকে জাপানে করোনার নতুন ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে, অন্য দিকে, খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তা অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ওই ভাইরোলজিস্টের বক্তব্য ছিল, আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে এখনো করোনা সে ভাবে ছড়ায়নি। ওই সব দেশে করোনা ছড়ালে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
জাপান সরকার এবং অলিম্পিক কমিটি ভাইরোলজিস্টের কথায় গুরুত্ব দেয়নি। জাপান জানিয়েছিল, করোনা রুখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। খেলার সঙ্গে যুক্ত সকলের টিকাকরণ করা হচ্ছে। খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ রাখা হবে। হোটেল এবং স্টেডিয়াম ছাড়া তারা আর কোথাও যেতে পারবেন না। তৈরি হচ্ছে বায়ো বাবল। কিন্তু অলিম্পিক শুরু হওয়ার আগেই সমস্ত সতর্কতা উপেক্ষা করে উগান্ডার খেলোয়াড়ের শরীরে মিলল করোনা।
বস্তুত, গত কিছুদিন ধরে উগান্ডায় করোনার প্রকোপ বেড়েছে। ওই ব্যক্তি দেশ থেকেই করোনা নিয়ে এসেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। ওই অবস্থাতেই তিনি প্লেনে করে জাপানে এসে পৌঁছেছিলেন। টোকিও বিমানবন্দরে তার করোনা ধরা পড়ে। তবে দলের বাকি আট সদস্যের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাদের বাসে করে ওসাকায় ট্রেনিং ভিলেজে পাঠানো হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত স্থির হয়েছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই খেলা হবে। তবে দেশের একটি অংশের দাবি স্থানীয় মানুষদের স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক। যদিও ভাইরোলজিস্টদের বক্তব্য, দেশের মাত্র ১৬ শতাংশ মানুষকে কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দর্শকদের মাঠে ঢুকতে দেওয়া উচিত হবে না।