মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় বিনামূল্যে জমিসহ ঘর পাচ্ছেন তালিকাভুক্ত ৫৩ হাজার ভূমিহীন পরিবার। এরই মধ্যে ঘর নির্মাণসহ সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘরগুলো সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করবেন। এর মধ্য দিয়ে যাদের কখনও আশ্রয় আর আবাসনের সংস্থান হয়নি, তাদের এবার মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে।
প্রত্যেকটি ঘরে থাকছে দুটি কক্ষ, একটি বারান্দা, একটি বাথরুম ও রান্নাঘর। দুই শতাংশ জমির ওপর নির্মিত একেকটি ঘর পাবেন ভূমিহীনরা। আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় বরিশাল, ভোলা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুড়িগ্রাম ও রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হতদরিদ্র পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ঘরগুলো।
মুকসুদপুরে আরও ১৫০টি গৃহহীন পরিবারের মুখে হাসি ফুটতে যাচ্ছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৫০টি বসতহারা পরিবারকে সেমিপাকা এসব ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল এক প্রেস কনফারেন্সে উপজেলা নির্বাহী জোবায়ের রহমান রাশেদ সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান জানান, ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেণির পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে নেত্রকোণা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৯৬০টি গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম সম্পূর্ণ হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৯২৫টি গৃহনির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় আরো ৪৪৫ ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় পরিবার স্বপ্নের ঘর পেতে যাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম জানান, প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন এসব পরিবারের জন্য খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক গৃহ নির্মাণের পাশাপাশি বিদ্যুৎ এবং নলকূপ প্রদানেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ফরিদপুরে ১৫৭২ পরিবার ঘর পাচ্ছেন আজ, থাকছে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। এর আগে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী বলেন, প্রথম ধাপে ৩৭০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়া কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৮৮টি, পাবনার চাটমোহরে ২৫টি, চিরিরবন্দরে ১৩০টি, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ২০০টি পরিবার স্বপ্নের এ ঘর পেতে চলেছেন।