চীনের সাম্প্রতিক সামরিক তৎপরতার বিষয়ে সতর্ক করেছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর নেতারা। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে শুরু হয়েছে ন্যাটো সম্মেলন। সোমবার এই সম্মেলনে ন্যাটো নেতারা বলেছেন, চীন তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি ক্রমবর্ধমান হারে বাড়াচ্ছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে চীন তাদের সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন করছে। খবর বিবিসির
ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্কতা জারি করে বলেছেন, চীন সামরিক ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ন্যাটোর নিকটবর্তী হতে চলেছে। তিনি বলেন, ন্যাটো জোট চীনের সঙ্গে নতুন কোনো স্নায়ুযুদ্ধ চায় না।
সোভিয়েত ইউনিয়নের হাত থেকে ইউরোপের দেশগুলোকে নিরাপত্তা দিতে ১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ন্যাটোর যাত্রা শুরু হয়। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাটোর বাজেটে যুক্তরাষ্ট্রের হিস্যা কমানোর পক্ষে ছিলেন। এটা নিয়ে ৩০ দেশের এই সামরিক জোটের সঙ্গে ওয়াশিংটনের ঐতিহাসিক মিত্রতায় দূরত্ব তৈরি হয়।
ক্ষমতায় আসার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ন্যাটো সম্মেলনে প্রথমবারের মতো যোগ দিয়েছেন। ৭২ বছরের পুরোনো জোটে যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক সহায়তা বজায় রাখবে বলে আশ্বাস দেন বাইডেন।
বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিজেদের স্বার্থে ন্যাটো খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিষ্ঠার চুক্তি অনুসারে জোটের জন্য অনুচ্ছেদ ৫ মেনে চলা বাধ্যতামূলক। এই চুক্তি অনুসারে সদস্য দেশগুলো একে অন্যকে সুরক্ষিত রাখে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের হাত থেকে ইউরোপের দেশগুলোকে নিরাপত্তা দিতে ১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ন্যাটোর যাত্রা শুরু হয়।