রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুনে কয়েকশ’ ঘর পুড়ে গেছে। তবে তাৎক্ষণিক হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার ভোর রাত ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট সাল সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে রাজধানীর সাতটি স্টেশনের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, পানির উৎস শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হয় তাদের। বস্তির বাসিন্দারা জানান, মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাঁশ, কাঠ আর টিন দিয়ে তৈরি বস্তির ঘরগুলোতে। ক্রমেই বাড়তে থাকে আগুনের লেলিহান শিখা। চোখের সামনেই পুড়ে যায় কয়েকশ’ ঘর।
বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া বলেন, ভোর রাত ৪টা ৮ মিনিটে মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন লাগে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর তারা পাননি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বস্তিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার সব উপাদানই ছিল। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই বস্তিতে অসংখ্য অবৈধ গ্যাস, বিদ্যুৎ-সংযোগ আছে। এসব থেকেই বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সবশেষ গত বছর ২৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ভয়াবহ আগুনে এই বস্তির প্রায় আড়াই শতাধিক ঘর পুড়ে গিয়েছিল। ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৬ সালেও আগুনে পুড়েছিল সাততলা বস্তি।