বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ

বাংলাদেশ
আজ বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। ২০০১ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ১ জুনকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ওই বছর থেকে বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্ত করাকে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালন করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ বছর দেশব্যাপী দিবসটি পালন করছে। এর অংশ হিসেবে ১ থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ‘দুগ্ধ সপ্তাহ’ পালিত হবে। এর অংশ হিসেবে সোমবার ০১ জুন থেকে ০৭ জুন পর্যন্ত দুগ্ধ সপ্তাহ পালন করবে সংস্থাটি। আজ বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ও দুগ্ধ সপ্তাহ-২০২১ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
এদিন সকালে রাজধানীর খামারবাড়ি মোড়সহ অন্যান্য স্থানে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম, টি-শার্ট বিতরণ ও দরিদ্রের দুধ খাওয়ানো কর্মসূচি পালন করা হবে। একইদিন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২১ উপলক্ষে প্রাণীসম্পদ অধিদফতর ও জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার যৌথ আয়োজনে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্বজুড়ে দুধ একটি স্বীকৃত পুষ্টিকর খাবার। এ কারণেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মানুষকে নিয়মিত দুধ পান করার পরামর্শ দেয়। দুধে আছে ক্যালসিয়াম, যা হাড় ও দাঁতের গঠনের জন্য জরুরি। দুধের আমিষ শরীরে শক্তি জোগায়। দুধ মানুষের শরীরে পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন এ, জিংকসহ নানা ধরনের পুষ্টি উপাদানের জোগান দেয়।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত দুধের মতো পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরামর্শ অনুযায়ী একজন মানুষের দৈনিক গড়ে ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা উচিত। কিন্তু তার চেয়ে অনেক কম দুধ পান করে বাংলাদেশের মানুষ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ দেশের মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ দুধ পান করে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হিসাবে, দেশে দৈনিক মাথাপিছু দুধ গ্রহণের পরিমাণ ১৬৫ মিলিলিটার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৬ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপ অনুযায়ী, মাথাপিছু দৈনিক দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণের পরিমাণ ২৭ গ্রামের কিছু বেশি।
বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (বিডিডিএফ) তথ্য মতে, গত ১০ বছরে দেশে তরল দুধের উৎপাদন চার গুণেরও বেশি বেড়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *