শক্তিমত্তায় যোজন যোজন এগিয়ে ছিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে ইতিহাস গড়া হলো না ইউরোপের ধনী এই ক্লাবটির। ম্যানচেস্টার সিটিকে হতাশায় ডুবিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ট্রপি ঘরে তুললো চেলসি।
প্রথমার্ধের শেষদিকে জার্মান স্ট্রাইকার তরুণ কাই হ্যাভার্টজের গোলটাই গড়ে দিলো ব্যবধান। ৪৩ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে পাস বাড়ান মেসন মাউন্ট। সিটি রক্ষণকে ছত্রখান করে যা গিয়ে পড়ে কাই হ্যাভার্টজের পায়ে। গোলরক্ষক এডারসনকে স্টেপওভার দিয়ে বোকা বানিয়ে সহজ এক গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধের ভুলটা দ্বিতীয়ার্ধে শুধরে নিয়েছিলেন কোচ গার্দিওলা।
৬৪ মিনিটে বের্নার্দো সিলভাকে তুলে ফিরিয়েছিলেন ফার্নান্দিনহোকে। তবে ততক্ষণে একটু বেশি দেরিই হয়ে গেছে। তার আগেই দলটা বড় ধাক্কা খেয়েছিল ‘টালিসম্যান’ কেভিন ডি ব্রুইনাকে হারিয়ে। ৭৩তম মিনিটে ম্যাচ প্রায় শেষই করে দিতে পারতেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই ফরোয়ার্ডের চিপ দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়।
তিন মিনিট পর আক্রমণের ধার বাড়াতে স্টার্লিংকে তুলে ক্লাবের রেকর্ড গোলদাতা সার্জিও আগুয়েরোকে নামায় সিটি।
কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি তারা। সুযোগ অবশ্য এসেছিল। ৯০তম মিনিটেই যেমন হতে পারত গোল; কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকতে পারেননি ফোডেন। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে মাহারেজের জোরালো শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে চলে গেলে স্বপ্নভঙ্গের হতাশায় নুয়ে পড়ে সিটি। ১-০ গোলের বিজয় নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠে চেলসি।