ভারতে আবারও কভিডে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল। সেই সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুও এই প্রথমবার সাড়ে তিন হাজার পেরিয়ে গেল। আক্রান্ত বৃদ্ধির জেরে দেশটির সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৭ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলো ১ কোটি ৮৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫২৪ জন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৫ জনের। একদিনে মৃত্যুর নিরিখে এই সংখ্যা পুরো মহামারি পর্বে ভারতে সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে মারা গেল ২ লাখ ৪ হাজার ৮৩২ জন।
এ দিকে আক্রান্ত বৃদ্ধির জেরে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ১০৫ জন। সব মিলিয়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ৮৪ হাজার ৮১৪।মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৩০৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে দৈনিক সংক্রমণ গত কয়েক দিন ৩০ হাজারের বেশি থাকলেও বৃহস্পতিবার তা ২৯ হাজার ৭৫১। তবে কর্ণাটক (৩৯,০৪৭) এবং কেরালায় (৩৫,০১৩) বৃহস্পতিবার নতুন আক্রান্ত বেড়েছে অনেকটাই। দিল্লিতে প্রায় ২৬ হাজার। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, ছত্রিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাটে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজারের আশপাশে। মধ্যপ্রদেশ, বিহার, হরিয়ানাতেও ১২-১৩ হাজার লোক আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিদিন। ওডিশা, তেলিঙ্গানা, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ডে দৈনিক আক্রান্ত ১০ হাজারের কম হলেও এই রাজ্যগুলোর অবস্থা গত কয়েক দিনে অবনতি হয়েছে।
এ দিকে ভারতে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ঠিকমতো হিসাব করলে ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যেত বলে দাবি করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। নয়াদিল্লির সেন্টার ফর ডিজিজ ডাইনামিক্স ইকোনোমিক্স অ্যান্ড পলিসির পাশাপাশি আরও কয়েকটি সংস্থাকে উদ্ধৃত করে এই খবর দিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
সিএনএন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা নথিভুক্ত মৃত্যুর প্রায় ৩০ গুণ। অর্থাৎ সঠিক নথিভুক্তি হলে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়াত বলেই দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।