করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সারাদেশে চলছে লকডাউন। এ বিধিনিষেধের মধ্যেই টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে খুলছে দোকানপাট ও শপিংমল। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, রোববার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ৭ ঘণ্টা দোকান ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে। তবে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে দোকান ও শপিংমলে যেতেও মুভমেন্ট পাস নিতে হবে সবাইকে।
এর আগে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আগের নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় ব্যাপকসংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে নতুন এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাজার/সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর আগে গত রোববার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার দাবি জানান বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, সারাদেশে ৫৩ লাখের বেশি দোকানদার রয়েছেন। এই দোকানগুলোর মাধ্যমে দুই কোটি ১৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ-প্রত্যক্ষভাবে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করেন। এই মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তারা।
তবে প্রথম দফার বিধিনিষেধকালে তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি সরকার। এরপর করোনার কারণে দ্বিতীয় দফার বিধিনিষেধের মধ্যে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলবে কি না, এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন বলেন, চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে দোকানপাট ও শপিংমল খুলবে কি না, এ বিষয়ে সরকার রোববার সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে তার আগেই শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় সরকার।
এর আগে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি করা হয়। তবে গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে ওই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর।
পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় ৮ দিনের কঠোর লকডাউন । লকডাউনের মধ্যে দোকান-শপিংমল বন্ধ রাখাসহ ১৩টি নির্দেশনা দেয় সরকর। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত বুধবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ আগামী ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়।