করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীজুড়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলেই গুণতে হচ্ছে জরিমানা। তবে ‘মুভমেন্ট পাস’ না থাকলে চাকরির পরিচয়পত্র দেখেই ছাড়ছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর সড়কগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তৎপর থাকতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। যে কেউ ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে নামলেই মুখোমুখি হতে হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদের।
এদিকে লকডাউনের প্রথম দিনের তুলনায় এদিন সকাল থেকে সড়কে যানবাহন বেশি দেখা গেছে। তবে চেকপোস্টে প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এর ফলে চেকপোস্টের পেছনে গাড়ির দীর্ঘ জটলাও দেখা গেছে।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় প্রথম দিনের তুলনায় রাস্তায় অনেক লোকজন বের হয়েছেন। যাদের অফিস খোলা তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন পুলিশ সদস্যরা। তবে মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হয়েছেন কিনা সে বিষয়টি তারা জিজ্ঞেস করছেন।
চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জরুরি প্রয়োজনে যারা রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের মুভমেন্ট পাস আছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন তারা। এছাড়া যাদের অফিস খোলা তাদের পরিচয়পত্র দেখে যেতে দেওয়া হচ্ছে। মুভমেন্ট পাস নিয়ে জরুরি কাজ শেষে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তারা।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, সর্বাত্মক লকডাউনে জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচলের জন্য ১৪টি শ্রেণিতে ‘মুভমেন্ট পাস’ দিচ্ছে পুলিশ। এই পাসধারী ব্যক্তি সড়কে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবেন। তবে এই পাস সবাইকে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু জরুরি সেবার প্রয়োজনে এই পাস দেওয়া হয়।
মুদি দোকানে কেনাকাটা, কাঁচা বাজার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত, কৃষিকাজ, পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ, ত্রাণ বিতরণ, পাইকারি বা খুচরা ক্রয়, পর্যটন, মৃতদেহ সৎকার, ব্যবসা ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে এই ‘মুভমেন্ট পাস’। এছাড়া যাদের বাইরে চলাফেরা প্রয়োজন কিন্তু কোনো ক্যাটাগরির সঙ্গে মিল নেই, তাদের অন্যান্য ক্যাটাগরিতে পাস দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের চলমান দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ সামাল দিতে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী আট দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা ১৩ দফা বিধিনিষেধ সংবলিত প্রজ্ঞাপনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমসহ (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া) অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবাসংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মী এবং যানবাহন নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।